বাংলাদেশে মোট তিন প্রজাতির পানকৌড়ি ও একটি গয়ার পাওয়া যায়
গয়ার
Oriental Darter
Anhinga melanogaster
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী
বড় আকারের পানকৌড়ি জাতীয় এই পাখিটির গলা বেশ লম্বা ও বাঁকানো। মাছকে প্রায়ই তীক্ষ্ণ ঠোট দিয়ে গেঁথে ফেলে বলে এর এমন নাম। আমাদের দেশের হাওড় ও বড় জলাশয়জাতীয় স্থানে শীতকালে দেখা মেলে। এর প্রথম দেখা পেয়েছিলাম ঢাকার সাভারে।
বিশ্বে প্রায়-বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
ছোট পানকৌড়ি
Little Cormorant
Microcarbo niger
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
সম্পুর্ন দেশী এই পাখিটিকে আমাদের দেশের সর্বত্র প্রচুর পরিমানে দেখা যায়। সাধারনত জলাশয়ের মাঝে বা আশেপাশে পুতে রাখা খুঁটিতে বসে থাকে আর মাঝেমধ্যে পানিতে নেমে মাছ শিকার করে। এরা বক জাতীয় পাখিদের সাথে মিলে একত্রে কলোনি করে প্রজনন করে থাকে।
বিশ্বে নূন্যতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে
বড় পানকৌড়ি
Great Cormorant
Phalacrocorax carbo
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী
বাংলাদেশে এরা পরিযায়ী হয়ে আসে শীতকালে। আকারে বেশ বড় এই পানকৌড়িদের ঠোট বেশ মজবুত ও ,মোটা, চোখ সবুজাভ। প্রজননকালীন সময়ের আগে পুরুষ পাখিগুলোর মাথা, কান ও বুকের কাছে সুন্দর সাদা পালক দেখা যায়। আমাদের দেশের বড় নদী ও জলাশয়ে এদের চোখে পড়ে, এছাড়া মাঝেমধ্যে বড় বড় ঝাঁকে এদের উড়ে যেতে দেখা যায়। প্রথম দেখা পেয়েছিলাম ঢাকার উত্তরা থেকে।
বিশ্বে নূন্যতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
দেশী পানকৌড়ি
Indian Cormorant
Phalacrocorax fuscicollis
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
আমাদের দেশের বিরল প্রজাতির পানকৌড়ি। এদেরকে শুধুমাত্র রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় নিয়মিত দেখা যায়। এছাড়া এর বাইরে ঢাকা, মৌলভিবাজার, ফেনীতে বড় জলাশয়ের আশেপাশে মাঝেমধ্যে দেখা মিলেছে। এদের সংখ্যা আমাদের দেশে আশা করি বাড়ছে এবং এরা আস্তে আস্তে রাজশাহী বিভাগ থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে। মাঝারি আকৃতির এই পানকৌড়িদের গায়ের রঙ চকচকে কালো, গলা ও মাথা চিকন, ঠোট লম্বা এবং খুব সরু, এবং চোখ সবুজাভ। প্রাপ্তবয়স্ক পাখিগুলোর কানের পেছনে সাদা পালক গজায়, প্রজননকালীন সময়ে বুক-পেট সাদাটে হয়ে যেতে পারে। এর প্রথম দেখা পেয়েছিলাম ঢাকার কেরানীগঞ্জের এক এক বিল থেকে। রাজশাহীতে বেশ ভাল সংখ্যায় কিছু কলোনিতে এরা নিয়মিত প্রজনন করছে।