কোকিল, পাপিয়া ও কুবো

বাংলাদেশের কুবো, মালকোয়া, কোকিল ও পাপিয়া মিলিয়ে ২০ প্রজাতির পাখির পরিবার

বড় কুবো

Greater Coucal

Centropus sinensis
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি

একটু গ্রামাঞ্চল মত এলাকায় বাসাবাড়ির আশেপাশে সহজেই এই পাখিটির দেখা মেলে। গাছপালা ও ঝোপঝাড় বিশিষ্ট এলাকায় সারাদেশেই বাস করে পাখিটি। খয়েরি রঙের ডানা ও কালো দেহ, সাথে লাল দুটি চোখ, এর গম্ভীর কুব কুব কুব ডাক দিনের বেলায় প্রায়ই কানে আসে। সাধারনত মাটিতে খুটে খুটে কেঁচো, ছোট পোকা ও প্রাণী ধরে খায়। এরা কোকিলদের খুব কাছের আত্বীয় তবে নিজের বাসা নিজেই তৈরী করে। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতক্ষীরায় আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে
বড় কুবো, ঢাকা

পাখিটির ডাক শুনুন

Play
Pause

বাংলা কুবো

Lesser Coucal

Centropus bengalensis
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি

আকারে বড় কুবোর চেয়ে খানিকটা ছোট, স্বভাবে বেশ লাজুক, এরা ফাঁকায় তেমন আসতে চায় না। মাটিতে নেমে খেতেও দেখিনি কখনো, যাধারনত লম্বা ঘাসের ঝোপ বা বনের ধারে ঝোপে অবস্থান করে ও খাবার সন্ধান করে। মাঝেমধ্যে ঝোপের আগায় উঠে ডাক দেয়, এদের ডাক চিকন স্বরে কুক কুক কুক। পেছনের পায়ের নখ অনেক লম্বা হয়, আর প্রজননকালে লেজে বাহারী আলগা পালক গজায় যা মেলে দিয়ে যখন প্রদর্শন করে তখন দারুন লাগে। পুরুষ পাখি বড় কুবোর মতই রঙ এর হয় তবে চোখ কালো, স্ত্রী পাখি দেখতে আলাদা। প্রথম দেখা পেয়েছিলাম ঢাকার উত্তরায়, এছাড়া দেশের কয়েক যায়গায় এর দেখা পেয়েছি, ডাক শুনেছি।

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
বাংলা কুবো, ঢাকা

পাখিটির ডাক শুনুন

Play
Pause

সারকিয়ার মালকোয়া

Sirkeer malkoha

Taccocua leschenaultii
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী

আমাদের দেশে বেশ কয়েক দশক আগে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। এরা ভারতের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলের পাখি মূলত, দেহ ধূসর রঙ এর, টকটকে লাল ঠোট  ও লম্বা লেজবিশিষ্ট। আমাদের দেশের পশ্চিমাঞ্চলে নদীর শুকনো চরাঞ্চলের গাছপালার মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে খুব কম দেখা মেলে
এখনো দেখা পাইনি।

সবুজ-ঠোট মালকোয়া

Green-billed Malkoha

Phaenicophaeus tristis
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি

আমাদের দেশের একটি আবাসিক পাখি, এর আরেক নাম বনকোকিল। তবে মজার ব্যাপার হল এরাও নিজের বাসা নিজেই তৈরী করে। সারাদেশেই বড় গাছপালা বিশিষ্ট উদ্যানজাতীয় যায়গায় পাওয়া যেতে পারে, এদের লেজ অনেক লম্বা এবং খুব সুন্দর। চোখের চারপাশে লাল ফাঁকা চামড়া রয়েছে আর ঠোটের রঙ সবুজ। গাছপালার ভেতর দিয়েই সাধারনত চলাচল করতে পছন্দ করে, হঠাত থেকে একবার করে গম্ভীর কুব ডাক দেয়। এর প্রথম দেখা পেয়েছিলাম ঢাকার মিরপুরে, পরে সারাদেশের অনেক বনেই এর সাথে দেখা হয়েছে। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
সবুজ-ঠোট মালকোহা, শেরপুর

খয়েরি-ডানা পাপিয়া

Chestnut-winged Cuckoo

Clamator coromandus
আমাদের দেশের গ্রীষ্মের পরিযায়ী

সরূ দেহ বিশিষ্ট এবং বেশ লম্বা আকারের বড় লেজওয়ালা এই কোকিলটির গান খুব সুন্দর, থেমে থেমে পি পিপ, পি পিপ ডাক দেয় একটানা। ডানা দুটি খয়েরি রঙ এর, আর মাথায় ঝুঁটি রয়েছে। গাছপালার ভেতর দিয়ে দ্রুত চলাচল করে। শেরপুর ও ঢাকায় কাছ থেকে এর ডাক শুনেছি কিন্তু দেখা পাইনি। এরা অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
এখনো দেখা পাইনি।

পাকড়া পাপিয়া

Pied Cuckoo

Clamator jacobinus
আমাদের দেশের গ্রীষ্মের পরিযায়ী

সাদা-কালো রঙ এর মিশেলে ঝুঁটি বিশিষ্ট এই পাখিটিকে বলা হয় বর্ষার সংবাদদাতা। শীতের পরপর থেকেই সাধারনত এদের উপস্থিতি চোখে পড়ে। এরা সাধারনত বন ছাতারের বাসায় ডিম পাড়ে। ফাঁকা মাঠ ও জলাশয়ের আশেপাশে লম্বা ঘাসের বনের ধারে এদের বেশী চোখে পড়ে। খাবারের সন্ধানে প্রায়ই মাটিতে নামে, থেমে থেমে টিউ, টিউ ডাক দেয়। এর প্রথম দেখা পেয়েছিলাম ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
পাখির নাম, জেলা

পাখিটির ডাক শুনুন

Play
Pause

কোকিল

Asian Koel

Eudynamys scolopaceus
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি

আমাদের সকলের অতিপরিচিত পাখি। বসন্তের কোকিল বলতে আমরা একেই চিনি, অন্যের বাসায় ডিম পাড়া পাখি হিসেবে একেই আমরা বেশী চিনি। তবে এই পেজের বেশিরভাগ পাখিই কিন্তু এই কাজ করে থাকে। যাইহোক, এই কোকিল পুরুষ পাখিগুলো কুচকুচে কালো আর চোখ লাল টকটকে। পুরুষ পাখিগুলোই মূলত গান করে। আর স্ত্রী পাখির সারাগায়ে সাদা সাদা ছোপ রয়েছে। সারাবছরই খেয়াল করলে এদের ডাক শোনা যায় তবে গান গায় শীতের শেষ থেকে বর্ষার আগ পর্যন্ত। সাধারনত ভাত শালিকের বাসায় ডিম পাড়ে, তবে প্রচলিত কথা অনুযায়ী এরা কাকের বাসায়ও ডিম পেড়ে থাকে। প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকা থেকেই। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে
কোকিল, ঢাকা

পাখিটির ডাক শুনুন

Play
Pause

এশীয় শ্যামা পাপিয়া

Asian Emerald Cuckoo

Chrysococcyx maculatus
আমাদের দেশের গ্রীষ্মের পরিযায়ী

আমাদের দেশের খুব সুন্দর দেখতে একটি পাপিয়া হচ্ছে এটি। পুরুষ পাখিগুলোর পিঠ ও ডানা অত্যন্ত সুন্দর চকচকে সবুজ রঙ এর হয়, স্ত্রী পাখি দেখতে আলাদা, পেটের দিকটায় ডোরাকাটা দাগ রয়েছে। আকারে বেশ ছোট এই পাপিয়াটিকে আমাদের দেশের সিলেট বিভাগের পাহাড়ি বনে প্রতি মৌসুমে কয়েকবার করে পাওয়া যায়। আমি এখনো এর দেখা পাইনি। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে কমই দেখা মেলে
এখনো দেখা পাইনি।

বেগুনী পাপিয়া

Violet Cuckoo

Chrysococcyx xanthorhynchus
আমাদের দেশের গ্রীষ্মের পরিযায়ী

ছোট আকারের এই পাপিয়াটিকেও বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের পাহাড়ি বনেই শুধু পাওয়া যায়। পুরুষ পাখিগুলোর দেহের উপরিভাগ বেগুনী, ঠোট কমলাটে আর সামনের দিকে ডোরাকাটা দাগ রয়েছে। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম হবিগঞ্জ থেকে। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
বেগুনী পাপিয়া, হবিগঞ্জ

পাখিটির ডাক শুনুন

Play
Pause

ডোরা তামাটে পাপিয়া

Banded Bay Cuckoo

Cacomantis sonneratii
আমাদের দেশের গ্রীষ্মের পরিযায়ী

খুব সুন্দর দেখতে এই গায়ক পাপিয়াটিয়ামাদের দেশের বনের বাসিন্দা। সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বন ছাড়াও সুন্দরবন ও গাজিপুরের শালবন থেকে এর সম্প্রতি দেখা মিলেছে। তামাটে রঙ এর ছোট আকৃতির শরীরে ডোরা দাগ থাকায় এর এমন নাম। আমি কাছ থেকে এর ডাক শুনেছি কয়েকবার কিন্তু দেখা পাইনি এখনো। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
এখনো দেখা পাইনি

পাখিটির ডাক শুনুন

Play
Pause

করুণ পাপিয়া

Plaintive Cuckoo

Cacomantis merulinus
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি

আমাদের দেশের একটি আবাসিক পাখি। দেহের উপরিভাগ মেটে ছাইরঙা আর বুক ও পেট কমলাটে, চোখ লাল। সারাদেশেই গাছপালা আছে এমন স্থানে এর দেখা মেলে। করুণ গলায় এর একটানা গান গেয়ে যাবার কারনেই হয়তো এর এমন নাম। স্ত্রী পাখি দেখতে আলাদা, খয়েরি রঙ এর হয়ে থাকে। এর প্রথম দেখা পেয়েছিলাম সাতক্ষীরায়। এই পাপিয়া টুনটুনির বাসায় প্রায়ই ডিম পাড়ে। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে
পাখির নাম, জেলা

পাখিটির ডাক শুনুন

Play
Pause

মেটে-বুক পাপিয়া

Grey-bellied Cuckoo

Cacomantis passerinus
আমাদের দেশের গ্রীষ্মের পরিযায়ী

আমাদের নিরল পাপিয়ার মত ভারতের পশ্চিম অংশের নিরল পাপিয়া হচ্ছে এই মেটে-বুক পাপিয়া। এর আরেক নাম হচ্ছে Indian Plaintive Cuckoo। গ্রীষ্মে কদাচিৎ আমাদের দেশে দেখা মেলে। এদের বুক ও পেট ছাই রঙা হয়, ডাক আলাদা আর মাথার পালক একটু উষ্কখুষ্ক দেখায় সাধারনত। আমি এখনো এই পাখিটির দেখা পাইনি। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
এখনো দেখা পাইনি

এশীয় ফিঙেপাপিয়া

Square-tailed Drongo-Cuckoo

Surniculus lugubris
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি

লেজ চৌকোনা, দেহ সম্পুর্ন কালো তবে পেটের নিচের অংশে ও লেজের নিচে সাদা ছোপ দেখা যায়। এই পাখিটি আমাদের দেশের বনাঞ্চলের পাখি। সাধারনত সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনে পাওয়া যায়। সমতলেও কয়েকবার দেখা যাবার কথা শুনেছি। একই সুরে একটানা উচু গলায় ডাক দেয়, শুনতে বেশ লাগে। এর প্রথম দেখা পেয়েছিলাম হবিগঞ্জের সাতছড়ি থেকে। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
ফিঙেপাপিয়া, মৌলভিবাজার

পাখিটির ডাক শুনুন

Play
Pause

বড় চোখগ্যালো

Large Hawk-Cuckoo

Hierococcyx sparverioides
আমাদের দেশের গ্রীষ্মের পরিযায়ী

পাতি চোখগ্যালোর চেয়ে বড় আকৃতির এই পাখিটির মূল আবাস বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের উচু পাহাড়ি বনাঞ্চলে। গ্রীষ্মে ও শীতের শুরুতে মাঝেমধ্যে নিচে নেমে আসে তখন আমাদের দেশে কদাচিৎ চোখে পড়ে। সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলে ছাড়াও গাজীপুরের ভাওয়াল, শেরপুরের গারো পাহাড় ও রাজশাহী থেকেও এর দেখা মিলেছে। ডাক পাতি চোখগ্যালোর মতই, কিছুটা পার্থক্য আছে। এদের লেজ বেশ ভারী, আর থুতনীর নিচে কালো পালক রয়েছে। আমি প্রথম দেখেছিলাম মোউলভিবাজার থেকে, তবে এক ঝলকের জন্য, তাই ছবি তুলতে পারিনি। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে কমই দেখা মেলে
দেশে এখনো ছবি তুলতে পারিনি।

পাখিটির ডাক শুনুন

Play
Pause

পাাতি চোখগ্যালো

Common Hawk-Cuckoo

Hierococcyx varius
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি

সারাদেশেই পাওয়া যায় এই আবাসিক পাপিয়াটিকে। এরা সাধারনত বন ছাতারের বাসায় ডিম পাড়ে। এদের ডাক শুনে যা মনেহয় সেই অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় এর বিভিন্ন নাম। যেমন বাংলাদেশে এর নাম পিউ কাহা, ইংরেজীতে ব্রেইন ফিভার বার্ড ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। সাধারনত গাছের নিচের অংশের ডালে বসে থাকে, মাঝেমধ্যে মাটিতে ডাইভ দিয়ে নেমে প্রজাপতির শুয়ো ধরে আবার উড়ে যায়। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকা থেকেই। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে
পাখির নাম, জেলা

পাখিটির ডাক শুনুন

Play
Pause

হজসনের চোখগ্যালো

Hodgson's Hawk-Cuckoo

Hierococcyx nisicolor
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী

ছোট আকৃতির আরেকটি চোখগ্যালো আমাদের দেশে পাওয়া গেছে। মাঝে বেশ কয়েক দশক দেখা পাওয়া যায়নি, তবে সম্প্রতি মৌলভিবাজারের এক বন থেকে একটি কমবয়সী পাখি পাওয়া গেছে। হয়তো আমাদের দেশের অতিবিরল পরিযায়ী এরা, এদেরও মূল আবাস আমাদের দেশের উত্তরে উচু পাহাড়ি বনে। আমি এখনো এই পাখির দেখা পাইনি। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে খুব কম দেখা মেলে
এখনো দেখা পাইনি

ছোট পাপিয়া

Lesser Cuckoo

Cuculus poliocephalus
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী

ছোট আকৃতির এই পাপিয়াটিও আমাদের দেশের উত্তরে উচু পাহাড়ি বনে সহজেই পাওয়া যায় তবে আমাদের দেশে বিরল। প্রতি মৌসুমে হয়তো হাতেগোনা কয়েকবার পাওয়া যেতে পারে। দেখতে অনেকটাই বৌ কথা কও পাপিয়ার মত তবে এর চোখের চারপাশে হলদে রিং থাকে, নিচের ঠোটের গোড়া ফ্যাঁকাসে, আর কোমর দাগহীন। দেশে একে দেখেছি তবে ছবি নিতে পারিনি। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে কমই দেখা মেলে
দেশে ছবি তুলতে পারিনি।

বৌ কথা কও পাপিয়া

Indian Cuckoo

Cuculus micropterus
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি

আমাদের দেশের সুলভ আবাসিক পাপিয়া এটি। উদ্যানমত যায়গায় সারাদেশেই পাওয়া যায়। সাধারনত গাছের উচু ডালে বসে গান গায় যা দূর থেকেও শোনা যায়। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে সামান্য আলাদা। চোখ বড় বড়, আর চোখের ভেতরটা কালো। এর প্রথম দেখা পেয়েছিলাম ঢাকার সাভারে। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে
পাখির নাম, জেলা

পাখিটির ডাক শুনুন

Play
Pause

হিমালয়ী পাপিয়া

Himalayan Cuckoo

Cuculus saturatus
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী

আমাদের দেশের অত্যন্ত বিরল প্রজাতির একটি পাপিয়া এটি। তবে প্রতিবছর একদুটি করে সাইটিং এর খবর চোখে পড়ে। আমাদের দেশের সিলেট বিভাগ ও সুন্দরবন থেকে এর পাওয়া যাবার খবর সবচেয়ে বেশী, তবে সম্প্রতি শেরপুরের গারো পাহাড় থেকেও দেখা মিলেছে। আমি এখনো দেখা পাইনি। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে খুব কম দেখা মেলে
এখনো দেখা পাইনি।

ইউরেশীয় পাপিয়া

Common Cuckoo

Cuculus canorus
আমাদের দেশের পান্থ পরিযায়ী

আমাদের দেশের উপর দিয়ে মূলত এরা পান্থ পরিযায়ন করে উড়ে যায়। এরা লম্বা পথ পরিযায়ন করে থাকে, যা শুনলে মাথা নষ্ট হবার জোগাড়। আমাদের দেশে শীতের শুরুতে ও শেষে সাধারনত দেখা মেলে, পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে আলাদা। বনাঞ্চল সহ খোলা প্রান্তরেও এর দেখা মেলে। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার উত্তরা থেকে। 

বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
ইউরেশীয় পাপিয়া, ঢাকা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top