বাংলাদেশে চুটকি, দোয়েল, চেরালেজ, শিলা-দামা, শিলা ও ঝাড়ফিদ্দা, সাদা-কান ইত্যাদি মিলিয়ে মোট ৫৭ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে
কালা-পাশ চুটকিচ
Dark-sided Flycatcher
Muscicapa sibirica
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
পরিযায়ী এই চুটকি বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলেই পাওয়া যেতে পারে, সাধারনত বনের আশেপাশে। এর বুকের দুইপাশটা কালচে রঙ এর হয়, বয়স কম হলে বুকে ফোটা ফোটা দাগ থাকে। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার মিরপুর থেকে। এরা কয়েকটি ফাকা ডাল পছন্দ করে তাতে বসে এবং উড়ে উড়ে শিকার ধরে সেসব ডালেই বারবার ফিরে আসতে পছন্দ করে।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
মরচেেরং চুটকি
Ferruginous Flycatcher
Muscicapa ferruginea
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
বাংলাদেশের অত্যন্ত বিরল এক পরিযায়ী চুটকি। সর্বশেষ খুলনা জেলায় পাওয়া গেছিলো। এর আগে কয়েক দশকের মধ্যে সম্ভবত এর কোন সাইটিং নেই দেশে।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
এশীয় বাদামী চুটকি
Asian Brown Flycatcher
Muscicapa dauurica
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
ছোট আকারের এই চুটকিটিও পরিযায়ী এবং সারাদেশেই উদ্যান ও বনাঞ্চল জাতীয় স্থানে পাওয়া যায়। এদের পা কালো, নিচের ঠোটের গোড়ার কাছটা ফ্যাঁকাসে এবং চোখ বড় বড়। প্রথম ছবি তুলেছিলাম রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি থেকে।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
বাদামী-বুক চুটকি
Brown-breasted Flycatcher
Muscicapa muttui
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
খাটো আকৃতির ফ্যাঁকাসে রঙ এর পা বিশিষ্ট এই চুটকিটির দেহের উপরিভাগ ও বুক-পেট বাদামী রঙ এর। এছাড়া চোখ বড় বড় এবং ঠোটও পায়ের মত ফ্যাঁকাসে। মাঝেমধ্যে দেহ একটু গাড় রঙ এর হয় তখন মরচেরং চুটকির সাথে সাদৃশ্য মনে হতে পারে। এরা আমাদের দেশে পরিযায়ী আবার পান্থ-পরিযায়ীও বটে। প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার মিরপুর থেকে।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
তিলা চুটকি
Spotted Flycatcher
Muscicapa striata
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
আমাদের দেশের অত্যন্ত বিরল চুটকি এটি। দেশে একবারই পাওয়া গিয়েছে, সেটা হচ্ছে ২০১৭ সালে পটুয়াখালির কুয়াকাটায় উপকূলীয় অঞ্চল থেকে। এরা সম্ভবত আমাদের দেশে বিরল পান্থ-পরিযায়ী।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
দোয়েল
Oriental Magpie-Robin
Copsychus saularis
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
বাংলাদেশের জাতীয় পাখি, সারাদেশের সকল স্থানে পাওয়া যায় এবং আমরা প্রায় প্রতিদিনই এর ডাক ও গান শুনতে পাই। সকল ধরনের প্রতিবেশে টিকে থাকতে পারে, অনেক ধরনের উৎস থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পারে আর গাছের কোটর বা বাসাবাড়ির ফোঁকরেও বাসা করতে পারে। এদের অনেক ধরনের গান রয়েছে, তার উপর অন্য পাখির গান নকল করতেও ওস্তাদ।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
সাদা-কোমর শ্যামা
White-rumped Shama
Copsychus malabaricus
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
জাতীয় পাখি দোয়েলের আত্বীয় আরেক গায়ক পাখি, তবে দুঃখজনকভাবে এর সংখ্যা দেশের জনপদগুলোতে কমে গিয়েছে ব্যপকহারে। এখন শুধুমাত্র বনাঞ্চলগুলোতেই পাওয়া যায়, সাথে নির্দিষ্ট কিছু গ্রামীন বনে রয়েছে। লম্বা লেজ ও কোমরের কাছটা উজ্জ্বল সাদা পালকে ঢাকা। এরাও খুব সুন্দর গান করে এবং অন্য পাখির ডাক নকল করতে পারে। উত্তেজিত হয়ে লম্বা লেজটাকে খাড়া করে তোলে আবার নামায়। স্ত্রী পাখি একটু অনুজ্জল রঙ এর হয়। প্রথম ছবি তুলেছিলাম হবিগঞ্জের সাতছড়ি বন থেকে।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
ধলা-গলা চুটকি
Pale-chinned Blue Flycatcher
Cyornis poliogenys
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
বাংলাদেশের আবাসিক এই চুটকিটিকে দেশের সকল পাহাড়ি বনে এবং সুন্দরবনে দেখা যায়। এদের ঠোটের ঠিক নিচে থুতনির যায়গাটা ফ্যাঁকাসে রঙ এর। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম মৌলভিবাজারের কুলাউড়ায়।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
হালকা-নীল চুটকি
Pale Blue Flycatcher
Cyornis unicolor
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
অপেক্ষাকৃত কম পাওয়া যায় এই নীল চুটকিটিকে তবে দেশের বেশ কিছু বনে এর উপস্থিতি রয়েছে। নাম দেখেই বোঝা যায় এর দেহের রঙ হালকা নীলাভ, ঠোট শক্তিশালি আর পুচ্ছদেশের দিকটা আরও হালকা নীল। সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলগুলোর সাথে সম্প্রতি গারো পাহাড়ে কয়েকবার দেখা গেছে। এখনো এর দেখা পাইনি।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
বড় নীল চুটকি
Large Blue-flycatcher
Cyornis magnirostris
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
পাহাড়ি নীল চুটকির থেকে আলাদা হয়ে নতুন প্রজাতি হয়েছে এই বড় নীল চুটকি। আমাদের দেশের পরিযায়ী পাখি। চট্বগ্রাম বিভাগের এক বন থেকে একে বেশ কয়েকবছর আগে প্রথম পাওয়া গিয়েছিলো।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
নীলগলা নীল চুটকি
Blue-throated Blue Flycatcher
Cyornis rubeculoides
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
বেশ সুলভ এই নীল চুটকিটিকে প্রায় সারাদেশেই বড় গাছপালা বিশিষ্ঠ জংলামত যায়গায় দেখা যায়। এদের গলা নীল হয়, এর নিচে বুকের কাছটা কমলাটে, আর পায়ের রঙ কালো, দেহের উপরিভাগ গাড় নীল। প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার সাভার থেকে। এরপর ঢাকার মিরপুর সহ দেশের অনেক বনেই এর দেখা পেয়েছি।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
পাহাড়ি নীল চুটকি
Hill Blue Flycatcher
Cyornis whitei
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
এটি বাংলাদেশের আরেকটি পরিযায়ী নীল চুটকি। পুরুষ পাখিগুলোর ঠোটের গোড়া থেকে শুরু করে বুক ও পেটের বড় অংশ জুড়ে কমলা রঙ এর হয়, পায়ের রঙ সাদাটে। বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের বনগুলোতে মূলত এবং অল্প সংখ্যায় চট্বগ্রাম বিভাগের বনে পাওয়া যায় শীতকালে। প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতছড়ি বন থেকে।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
বড় নীলমনি
Large Niltava
Niltava grandis
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
বাংলাদেশে পাওয়া যাওয়া তিন ধরনের নিলটাভার মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির, ঘাড়ের দুপাশে ডানার গোড়ায় উজ্জ্বল নীল পালক রয়েছে, আকারে দোয়েলের সমান। সিলেট বিভাগের সাতছড়ি বনে প্রায় দুদশক আগে সর্বশেষ দেখা গেছিলো, আর চট্বগ্রাম বিভাগের উচু পাহাড়ী বনে কবছর আগে একটি স্ত্রী পাখির ছবি তোলা হয়েছিলো।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
ছোট নীলমনি
Small Niltava
Niltava macgrigoriae
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
আকারে খুব ছোট গাড় নীল রঙ এর এই পাখিটির ঘাড়ের দুপাশেও উজ্জ্বল নীল পালক রয়েছে, বুকের কাছটা ছাইরঙা নীল আর স্ত্রী পাখি বাদামী। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতছড়ি বন থেকে। আমাদের দেশে সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনে ছাড়াও গারো পাহাড়ে সম্প্রতি পাওয়া গেছে। সুন্দরবনেও একবার দেখা গেছে দুবছর আগে।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
লালচে-পেট নীলমনি
Rufous-bellied Niltava
Niltava sundara
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
আকারে মাঝারী আকৃতির এই পাখিটির দেহ যেন উজ্জ্বল রঙ এর সমাহার। দেহের উপরিভাগ গাড় নীল, ঘাড়ের দুপাশে ডানার গোড়ায় নীলটাভা চিহ্ন স্বরুপ উজ্জ্বল নীল পালক এবং বুক-পেট গাড় কমলা রঙ এর। স্ত্রী পাখি বাদামী, গলার কাছে সাদা বাকা চাঁদের মত পালক থাকে। প্রথম দেখেছিলাম সাতছড়ি বন থেকে। আমাদের দেশে মূলত সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে পাওয়া যায়, সম্প্রতি গারো পাহাড়েও দেখা গেছে।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
অম্বর চুটকি
Verditer Flycatcher
Eumyias thalassinus
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
সবুজাভ নীল অর্থাৎ অম্বর নীল রঙ এর পাখিটিকে সারাদেশেই বড় গাছবিশিষ্ট জংলামত যায়গায় পাওয়া যেতে পারে। ঢাকা শহরেই বেশ কয়েকটি উদ্যানে একে প্রতিবছর শীতে দেখা যায়। এর পুচ্ছদেশের কাছটায় কিছু সাদা পালক থাকে।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
খুদে খাটোডানা
Lesser Shortwing
Brachypteryx leucophris
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
ভ্রুর কাছটায় ছোট সাদা দাগ থাকে আর লেজ ও ডানা বেশ খাটো। লম্বা পা বিশিষ্ট এই ছোট পাখিটি গান গাওয়ায় ওস্তাদ, থাকে খুব অন্ধকার ঝোপের মধ্যে এবং বাইরে বেরোতেই চায়না। আমাদের দেশের সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি বনে ছাড়াও গারো পাহাড়ে এদের দেখা পাওয়া যায়। দেখেছি দুবার, কিন্তু ছবি তুলতে পারিনি।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
দেশী নীল দোয়েল
Indian Blue Robin
Larvivora brunnea
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
আমাদের দেশের উপর দিয়ে পান্থ পরিযায়ী হয়ে চলে এই পাখিটি। সাধারনত শীতের শেষে মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে একে দেখা যায় দেশের বিভিন্ন যায়গায়। উজ্জ্বল নীল রঙ এর উপরিভাগ, কমলাটে বুক-পেট এবং ফ্যাঁকাসে রঙ এর পা বিশিষ্ট পুরুষ পাখিগুলো দেখতে খুব সুন্দর। ঢাকা শহরের কয়েকটি উদ্যানে সহ দেশের অনেক স্থানেই একে দেখা যায় প্রতি মৌসুমে। এখনো এর দেখা পাইনি।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
সাইবেরীয় নীল দোয়েল
Siberian Blue Robin
Larvivora cyane
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি
পরিযায়ী খুব সুন্দর এই নীল দোয়েলটি বেশ বিরল। একে মূলত সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি বনে শীতে দেখা পাওয়া যায়। পুরুষ পাখিটির উপরিভাগ গাড় নীল আর ফ্যাঁকাসে পা। স্ত্রী পাখিটির উপরিভাগ খুব হালকা নীলচে। লেজ বেশ ছোট আকৃতির, শরীরের চেয়ে পা লম্বা লম্বা। সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি বনে মূলত দেখা যায় শীতকালে, গারো পাহাড়েও সম্প্রতি পাওয়া গেছে। আমি প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতছড়ি থেকে একটি স্ত্রী পাখির।
বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
() 20. Bluethroat (Luscinia svecica) নীলগলা ফিদ্দাঃ বাংলাদেশের সর্বত্র শীতকালে নল ও ঝোপ বন, সরিষা ক্ষেতের আশেপাশে পাওয়া যাওয়া বেশ সুলভ একটি পরিযায়ী পাখি এই ব্লুথ্রোট। এরা আসে ইউরোপীয় অঞ্চল থেকে। গলার কাছটায় কয়েকটি নীল মালা থাকে, যাদের মাঝে আবার কমলাটে মালা। দেখতে বেশ সুন্দর। স্ত্রী পাখিগুলো বাদামী তবার গলার কাছটায় সাদাটে থাকে। ওড়ার সময় লেজের উপরিভাগের লালচে ব্যান্ড চোখে পড়ে সহজেই। সরিষা ক্ষেতের আইল ধরে খাবার খুটে খেতে পছন্দ করে। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার উত্তরা থেকে।
21. Blue Whistling-Thrush (Myophonus caeruleus) নীল শীসদামাঃ দামা পরিবারের হলেও এই আবাসিক পাখিটি দোয়েলদের আত্বীয়র মধ্যেই পড়ে। গানের গলা চমৎকার, ডাকও খুব জোরালো। সাধারনত পথের ধারে পাথরের উপর বসে গান গাইতে পছন্দ করে। আকারে বেশ বড়, পাতি কাকের চেয়ে কিছুটা ছোট হবে। সারা দেহ গাড় ঝকমকে নীল যা আলো পড়লে ভালো বোঝা যায়, এর শক্তিশালি ঠোটটি হলুদ। বাংলাদেশের সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চল ও পাহাড়ি উচু নিচু এলাকায় এর দেখা মেলে। এছাড়া শেরপুরে এবং বগুড়ায় সম্প্রতি দেখা গেছে এর সাধারন বিচরনক্ষেত্রের বাইরে। এর প্রথম দেখা পাই সাতছড়ি বনে।
22. Black-backed Forktail (Enicurus immaculatus) কালো-পিঠ চেরালেজঃ চেরা-লেজরা বাংলাদেশের অত্যন্ত সুন্দর পাখি পরিবার। বনের মধ্যে বিশেষ করে ছড়ার ধারে এরা খাবার খুজে বেড়ায়, লেজটা অল্প অল্প দোল খায় আর এরা একটানা ছোট ছোট ডাক দিতে থাকে, মাঝেমধ্যে গান গেয়ে ওঠে তা খুবই মোহনীয়, যে কারও মন কেড়ে নিবে। এদের লেজের পালক দুইভাগে চেরা থেকে আর সোজাসুজি তাকালে মাঝের ফাঁকা দেখা যায় তাই এদের এমন নাম। এই প্রজাতিটি আমাদের আবাসিক, পাওয়া যায় সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের সকল পাহাড়ি বনে। প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতছড়ি থেকে। আরও বেশ কিছু বনে এর সাথে দেখা হয়েছে।
23. Slaty‑backed Forktail (Enicurus schistaceus) মেটে-পিঠ চেরালেজঃ এই পাখিটি আমাদের দেশে পরিযায়ী, সাধারনত বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের উচু পাহাড়ি বনে বাস করে, শীতে কিছুটা নিচে নেমে আসতে পারে। বেশ কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে এর দেখা পাওয়া যায়নি।
24. White‑crowned Forktail (Enicurus leschenaulti) সাদা-মুকুট চেরালেজঃ এই প্রজাতির চেরা-লেজও আমাদের দেশের পরিযায়ী এবং অতি বিরল। আমাদের দেশে বহু আগে কখনো এর দেখা গিয়েছিলো বলে জানা যায়।
25. Firethroat (Calliope pectardens) আগুনকন্ঠীঃ এই বিরল পরিযায়ী পাখিটি আমাদের দেশে বেশ বিরল। এরা যে আমাদের দেশে পরিযায়ন করে আসে তা প্রথম জানা গিয়েছিলো রিংগিং ক্যাম্প থেকে। এরা শীতে কোথায় যায় তা পাখিবিজ্ঞানীদের জানা ছিলো না। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ পাখির গলা আগুনের মত গাড় লালচে রঙ ধারন করে বলে এর এমন নাম। তবে সেই রূপটি পেতে অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে আসে। আমাদের দেশের সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন হাওড়ে এবং সুন্দরবনে এর দেখা পাওয়া যায় শীতকালে, তবে হাতেগোনা। রিংগিং ক্যাম্পে বেশ কিছু ধরা পড়ে প্রায় প্রতিবছর। এখনো এর দেখা পাইনি।
26. Siberian Rubythroat (Calliope calliope) সাইবেরীয় চুনিকন্ঠীঃ এই অনিন্দ্য সুন্দর পাখিটিও আমাদের দেশে পরিযায়ন করে আসে সুদূর সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে। পুরুষ ও স্ত্রী দুরকম পাখির দেহই গাড় বাদামী রঙের তবে পুরুষগুলোর গলায় রুবি রং এর লালচে দাগ থাকে, যা থেকে এর এমন নাম। প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে, প্রায় সারাদেশেই জলাশয়ের আশেপাশে নলবন জাতীয় যায়গায় এর দেখা পাওয়া যায়।
27. Chinese Rubythroat (Calliope tschebaiewi) সাদা-লেজ চুনিকন্ঠীঃ আমাদের দেশের আরেক ধরনের চুনিকন্ঠী হচ্ছে এটি, চীন দেশের দিক থেকে আমাদের দেশে পরিযায়ন করে আসে। এর লেজে স্পষ্ট সাদা পালক রয়েছে, এছাড়া গলার লাল অংশের নিচের অংশ বেশ কালো হয়। এর দেখা এখনো পাইনি। এটি বেশ বিরল, সাধারনত সিলেট অঞ্চলের হাওড় এলাকাতেই পাওয়া যায়, সম্প্রতি কুমিল্লায় পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটি পাখিকে।
28. White-tailed Robin (Myiomela leucura) সাদা-লেজ নীল দোয়েলঃ গাড় কালচে নীল রঙ এর সুন্দর এই পাখিটি আমাদের দেশের পরিযায়ী রবিন। স্ত্রী পাখিগুলো গাড় বাদামী তবে উভয়ের লেজ একতু বিস্তৃত করলেই লেজের দুপাশের সাদা পালক দেখা যায়। বাংলাদেশের সিলেট ও চট্বগ্রামের বনে ছাড়াও গারো-পাহাড় ও মধুপুরের বনেও দেখা মেলে। ঢাকার মিরপুরে একটি উদ্যানেও দেখা মিলেছিলো একবার। প্রথম ছবি তুলি সাতছড়ি থেকে।
29. Himalayan Bluetail/Orange-flanked Bush-Robin (Tarsiger rufilatus) কমলা-পাশ বন রবিনঃ অত্যন্ত সুন্দর ছোট আকৃতির এই পাখিটি আমাদের দেশে হিমালয়ের উচু পাহাড়ি এলাকা থেকে শীতে অল্প সংখ্যায় নেমে আসে। মূলত পাওয়া যায় চট্বগ্রাম বিভাগের উচু পাহাড়ি বনে, তবে সিলেট বিভাগেও একে দেখা গেছে এবং সম্প্রতি রাজশাহীতে সমতল এক বনে পদ্মার ধারে বেশ কয়েকদিন ছিলো একটি পাখি। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এর লেজ নীল, আর পেতের দুইপাশতায় কমলা রঙ স্পষ্টত বোঝা যায়। মাটিতে লেজ নাচিয়ে নাচিয়ে লাফ দিয়ে দিয়ে চলে। এখনো এর দেখা পাইনি।
30. Rufous-breasted Bush-Robin (Tarsiger hyperythrus) লালচে-বুক বন দোয়েলঃ বাংলাদেশের অতি বিরল পরিযায়ী পাখি। সিলেট অঞ্চলের বনে প্রায় তিন-চার দশক আগে সর্বশেষ দেখা পাওয়া গেছিলো।
31. White-browed Bush-Robin (Tarsiger indicus) সাদা-ভ্রু বন রবিনঃ এটিও বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত বিরল পরিযায়ী পাখি। বেশ কয়েক দশক আগে সিলেট অঞ্চলের বনে এর দেখা পাওয়া গিয়েছিলো সর্বশেষ।
32. Slaty-backed Flycatcher (Ficedula erithacus) মেটে-পিঠ চুটকিঃ বেশ বিরল এই পরিযায়ী চুটকিটিকে আমাদের দেশে বেশ কমই দেখা যায়। সাধারনত সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন হাওড়ে শীতকালীন রিংগিং ক্যাম্পে একদুটো কদাচিৎ ধরা পড়ে। এছাড়া একটি পাখিকে গতবছর সুন্দরবনে দেখা মিলেছিলো। সম্ভবত দেশে এদের বিস্তৃতি আরও বেশী।
33. Slaty-blue Flycatcher (Ficedula tricolor) স্লেট-নীলাভ চুটকিঃ এটিও বাংলাদেশের বেশ বিরল পরিযায়ী চুটকি। মূলত সিলে্ট অঞ্চলেই জলাবন ও উচু পাহাড়ের পাদদেশের ঝোপ জাতীয় বনে এদের দেখা মেলে। তবে সম্প্রতি ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় একটি ও শেরপুরের গারো পাহাড়ে কয়েকটি পাখির দেখা মিলেছে। সম্ভবত এদেরও বিস্তৃতি আমাদের দেশে আরও বেশী। এখনো এর দেখা পাইনি।
34. Snowy-browed Flycatcher (Ficedula hyperythra) সাদা-ভ্রু চুটকিঃ আমাদের দেশের বনাঞ্চলগুলোর বেশ সুলভ পরিযায়ী চুটকি এটি। আকারে খুবই ছোট, ভ্রুর কাছে সাদা ছোট ভ্রূ রয়েছে, স্ত্রী পাখি দেখতে বাদামী। বনাঞ্চলের বাইরে ঢাকার কিছু উদ্যানেও এর দেখা মিলেছে। এর প্রথম ছবি পেয়েছিলাম সাতছড়ি বন থেকে।
35. Pygmy Flycatcher (Ficedula hodgsoni) বামন চুটকিঃ এই পাখিটিকে বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন দাবী ছিল তবে নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি এতোদিন। সম্প্রতি সাতছড়ি বন থেকে একটি স্ত্রী পাখির ছবি তোলা হয়েছে যার মাধ্যমে এটি আমাদের দেশের তালিকায় নিশ্চিতভাবে যুক্ত হল। এটি সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট আকারের চুটকি।
36. Rufous-gorgeted Flycatcher (Ficedula strophiata) লা্লচে-মালা চুটকিঃ গাড় বাদামী রঙ এর এই পাখিটি খুব সুন্দর, গলার কাছে লাল মালার মত পালক রয়েছে, লেজের দুইপাশে সাদা পালক রয়েছে যা ওড়ার সময় দেখা যায়। চিক চিক চিক করে একটানা ডাকতে থাকে। সাধারনত সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি বনাঞ্চলে অনিয়মিতভাবে এর দেখা মেলে। এর প্রথম দেখা পেয়েছিলাম মৌলভিবাজারের বড়োলেখার এক বন থেকে।
37. Sapphire Flycatcher (Ficedula sapphira) নীলমনি চুটকিঃ ছোট আকারের এই বিরল পরিযায়ী চুটকিটিকে আমাদের দেশে মাত্র একদুইবার দেখা মিলেছে। আমাদের দেশের উপর দিয়ে পান্থ পরিযায়ী হয়ে সম্ভবত যায়, বেশ কয়েক দশক এর দেখা মেলেনি নতুন করে।
38, Little Pied Flycatcher (Ficedula westermanni) ছোট পাকড়া চুটকিঃ সাদা-কালো রং এর মিশেলে অত্যন্ত সুন্দর এই পরিযায়ী চুটকিটিকে সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি বনাঞ্চলে ছাড়াও গারো পাহাড় অঞ্চলে বেশ পাওয়া যায়। এর প্রথম দেখা পেয়েছিলাম সাতছড়ি বন থেকে।
39. Ultramarine Flycatcher (Ficedula superciliaris) ঘন-নীল চুটকিঃ এটিও বাংলাদেশের বেশ বিরল পরিযায়ী চুটকি। আমাদের দেশের সিলেট অঞ্চলে একদুইটি রেকর্ড রয়েছে পুরাতন, সম্প্রতি শেরপুরের গারো পাহাড় থেকে একটি পাখির দেখা মিলেছে। এরা আমাদের দেশের উত্তরের উচু পাহাড়ি বনে বাস করে, কদাচিৎ হয়তো নিচে নেমে আসে। এখনো এর দেখা পাইনি।
40. Rusty-tailed Flycatcher (Ficedula ruficauda) মরচে-লেজ চুটকিঃ মরচেরঙ্গা লেজ ও প্রায় সাদা বুকপেট বিশিষ্ট এই পরিযায়ী চুটকিটি আমাদের দেশের উপর দিয়ে পান্থ পরিযায়ী হয়ে অতিক্রম করে সম্ভবত। বগুড়া জেলা থেকে কয়েক বছর আগে একে প্রথম দেখা মিলেছিলো, এরপরে ঢাকার একটি উদ্যানে আরেকবার। এর পরে একে এদেশে আর দেখা পাওয়া যায়নি।
41. Taiga Flycatcher (Ficedula albicilla) তাইগা চুটকিঃ বাংলাদেশের অত্যন্ত সুলভ পরিযায়ী এই চুটকিটিকে শীতে সারাদেশেই গাছপালা রয়েছে এমন স্থানে দেখা যায়। এদের লেজের রঙ কালো ও দুপাশে সাদা পালক রয়েছে। প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির গলার কাছটা কমলা রঙ ধারন করে। প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার সাভার থেকে।
42. Red-breasted Flycatcher (Ficedula parva) লাল-বুক চুটকিঃ আগে তাইগা চুটকি হিসেবে ধরা হলেও এটিকে বর্তমানে আলাদা প্রজাতি হিসেবে ধরা হয়। এদের গলার কাছের লালচে রঙ গলা ছাড়িয়ে বুক পর্যন্ত নেমে আসে, লেজের উপরিভাগ বাদামী রঙ এর আর নিচের ঠোটের রঙ ফ্যাঁকাসে। দেশে এর দেখা পাবার কয়েকটি দাবী রয়েছে। আমি এর ছবি তুলেছিলাম ঢাকার মিরপুর থেকে।
43. Blue-fronted Redstart (Phoenicurus frontalis) নীল-কপাল গির্দিঃ চুটকিদের নিকটাত্বীয় গির্দিদের মধ্যে এই নীল-কপাল গির্দি আমাদের দেশের বিরল পরিযায়ী। চট্বগ্রাম বিভাগের উচু পাহাড়ি বনে পানির আশেপাশে কয়েকবার এর দেখা মিলেছে।
44. Plumbeous Redstart (Phoenicurus fuliginosus) নীলচে পান গির্দিঃ এটিও আমাদের দেশের বেশ বিরল পরিযায়ী গির্দি। সিলেট অঞ্চলে কয়েকটি সাইটিং রয়েছে পুরাতন, তবে একে মূলত চট্বগ্রাম বিভাগের উচু পাহাড়ি বনের স্রোতশীল ছড়ার ধারে দেখা মেলে। এখনো এর দেখা পাইনি।
45. White-capped Redstart (Phoenicurus leucocephalus) সাদা-টুপি পান গির্দিঃ এটিও আমাদের দেশের একটি বিরল পরিযায়ী গির্দি। সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বেশ কিছু যায়গায় উচু পাহাড়ি বনের ছড়ার ধারে এর দেখা মেলে। এছাড়া ঠাকুরগাঁও জেলায় এর দেখা মেলে। আমি এর ছবি তুলেছি মৌলভিবাজারের বড়লেখা থেকে।
46. Black Redstart (Phoenicurus ochruros) কালো গির্দিঃ বাংলাদেশের বেশ সুলভ পরিযায়ী এই গির্দিকে প্রায় সারাদেশেই খোলা প্রান্তরে গাছপালার মধ্যে মাঝেমধ্যে দেখা মেলে। এর প্রথম দেখা পেয়েছিলাম ঢাকার তুরাগ নদীর এক চরে।
47. Daurian Redstart (Phoenicurus auroreus) ডরিয়ান গির্দিঃ বাংলাদেশের অতি বিরল পরিযায়ী গির্দি এটি। বেশ কয়েক বছর আগে বান্দরবনে প্রথম দেখা যাবার পর থেকে মোট তিনবার দেখা মিলেছে এর আমাদের দেশে। সবগুলোই বান্দরবনের পাহাড়ি বনাঞ্চল থেকে।
48. Chestnut-bellied Rock-Thrush (Monticola rufiventris) খয়েরী-পেট শিলা দামাঃ শিলা-দামারাও জিনগতভাবে চুটকিদের আত্বীয়। এই প্রজাতির শিলা-দামা আমাদের দেশের বিরল পরিযায়ী, দেহের উপরিভাগ গাড় নীল আর পেট গাড় খয়েরি রঙ এর। আমাদের দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে এর বেশ কিছু সাইটিং রয়েছে। প্রধানত চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি বনে দেখা মেলে।
49. Blue-capped Rock-Thrush (Monticola cinclorhyncha) নীল-টুপি শিলা দামাঃ এই প্রজাতির শিলা-দামাও আমাদের দেশে বেশ বিরল, শীতের পরিযায়ী। সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগে ছাড়াও ঢাকা, বগুড়া, রাজশাহী সহ কিছু এলাকায় এর দেখা মিলেছে। ঢাকার মিরপুর থেকে একটি স্ত্রী পাখির ছবি আমি তুলেছি।
50. Blue Rock-Thrush (Monticola solitarius) নীল শিলা দামাঃ এই প্রজাতির শিলা দামা আমাদের দেশের আবাসিক পাখি। চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় এরা প্রজনন করে। এছাড়া শীতে এরা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় বিচরন করে তখন সারাদেশের বিভিন্ন যায়গায় কদাচিৎ এদের দেখা মেলে। প্রথম ছবি তুলেছিলাম রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি থেকে।
51. White-throated/Hodgson’s Bushchat (Saxicola insignis) হজসনের ঝাড়ফিদ্দাঃ আমাদের দেশের অত্যন্ত বিরল পরিযায়ী এই ঝাড়ফিদ্দা, সারাবিশ্বেও এদের সংখ্যা দ্রুত কমে আসছে। সাধারনত সিলেট বিভাগের হাওড় অঞ্চলে রিংগিং ক্যাম্পে কদাচিৎ শীতকালে ধরা পড়ে। এছাড়া কয়েকবার দেশে ছবিও তোলা হয়েছে এই অঞ্চল থেকে। প্রজননকালে এদের গলার কাছটা ধবধবে সাদা হয় যা গলার পেছন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আকারে সাইবেরীয় শিলাফিদ্দার থেকে আকারে বড়। এখনো এর দেখা পাইনি।
52. Siberian Stonechat (Saxicola maurus) সাইবেরীয় শিলাফিদ্দাঃ বাংলাদেশের অত্যন্ত সুলভ পরিযায়ী শিলাফিদ্দা এটি। প্রায় সারাদেশেই উন্মুক্ত প্রান্তর ও ঘাসবনে শীতে এদের দেখা মেলে। বাংলাদেশে বেশ কিছু উপপ্রজাতির দেখা মেলে, এর মধ্য থেকে নতুন প্রজাতি আলাদা হবার সম্ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যতে। প্রথম দেখা পেয়েছিলাম ঢাকার উত্তরা থেকে।
53. White-tailed Stonechat (Saxicola leucurus) সাদা-লেজ শিলাফিদ্দাঃ এই প্রজাতির শিলাফিদ্দা আমাদের দেশে প্রজনন করে। বিশেষ করে পদ্মা নদীর অববাহিকায় এদের বেশ চোখে পড়ে। বুকের উপরিভাগ সাধারনত কমলা রঙ এর এবং নিচের দিকে সাদাটে, এছাড়া লেজে সাদা পালক লক্ষ্যনীয়, লেজ মাঝেমধ্যেই পাখার মত ছড়িয়ে দেয় তখন আরও ভালোভাবে দেখা যায়। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম রাজশাহীর পদ্মার চর থেকে।
54. Pied Bushchat (Saxicola caprata) পাকড়া ঝাড়ফিদ্দাঃ আমাদের দেশের বেশ দুর্লভ পাখি এটি। চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চল সংলগ্ন খোলা স্থানে সবচেয়ে বেশী দেখা মেলে। এছাড়া সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে, ঢাকা ও রাজশাহীর কিছু স্থানে ও পঞ্চগড়ে এর নিয়মিত দেখা মেলে তবে অল্প সংখ্যায়। এছাড়া শীতকালে দেশের অন্যান্য স্থান থেকেও মাঝেমধ্যে খবর পাওয়া যায়। স্ত্রী পাখিগুলো মরচেরঙ্গা বাদামী হয়ে থাকে। আমাদের দেশে কয়েকটি উপপ্রজাতি পাওয়া যায়, যার মধ্যে আবাসিক ও পরিযায়ী দুরকমই রয়েছে। প্রথম ছবি তুলেছিলাম মৌলভিবাজার থেকে।
55. Jerdon’s Bushchat (Saxicola jerdoni) জার্ডনের ঝাড়ফিদ্দাঃ আমাদের দেশের অতিবিরল পরিযায়ী ঝাড়ফিদ্দা এটি। সিলেট অঞ্চলের হাওড়ে রিংগিং ক্যাম্পে এর প্রথম উপস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছিলো, পরবর্তীতে রাজশাহীতে রিংগিং ক্যাম্পে ধরা পড়ে, একজন ছবিও পান। মৌলভিবাজারে মাঝেমধ্যে শীতে দেখা মেলে। এখনো এর দেখা পাইনি।
56. Grey Bushchat (Saxicola ferreus) মেটে ঝাড়ফিদ্দাঃ বাংলাদেশের আরেকটি বেশ দুর্লভ পরিযায়ী ঝাড়ফিদ্দা এটি, মূলত চট্বগ্রাম বিভাগের উচু পাহাড়ি বনের ধারে ঘাস-ঝোপের মধ্যে এর দেখা মেলে। তবে পরিযায়ী হওয়ায় সিলেট বিভাগ, ঢাকা ও রাজশাহী জেলা ইত্যাদি স্থানে সমতল থেকেও এর দেখা মিলেছে। এখনো দেখা পাইনি।
57. Desert Wheatear (Oenanthe deserti) মরুর সাদাকানঃ বাংলাদেশের অতিবিরল পরিযায়ী পাখি, বাংলাদেশে বেশ কয়েক দশক আগে চট্বগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে একটিকে দেখা গেছিলো। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে একে আর দেখা যায়নি।