বাংলাদেশে মোট ০৭ প্রজাতির টিয়া পাওয়া যায়
চন্দনা টিয়া
Alexandrine Parakeet
Psittacula eupatria
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জাতের টিয়া এটি। বন্যপ্রানী শিকারীদেরও তাই অন্যতম শিকার এরা। ঠোট খুব শক্ত ও বড়, লেজ লম্বা, ডানায় লাল ছোপ রয়েছে। বড় গাছের গায়ে গর্তে বাসা করে এবং বিশেষ কিছু ফল এদের বেঁচে থাকার জন্য জরুরী তাই এই গাছ যেসব যায়গায় নেই সেসব যায়গায় এদের দেখা যায়না। উদ্ধারকৃত টিয়াগুলো ঢাকা শহরে টিকে গেছে এবং বংশবিস্তার করছে তাই এই ঢাকা শহরেই কিছু স্থানে এদের নিয়মিত দেখা মেলে। এছাড়া রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু এলাকায় এদের দেখা মেলে, এছাড়া গারো পাহাড় অঞ্চলে এদের দেখা মেলে। বরিশাল ও চট্বগ্রামেও সম্প্রতি পাওয়া গেছে। প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার মিরপুর থেকে।
বিশ্বে প্রায়-বিপদগ্রস্থ
এদেশে কমই দেখা মেলে

পাখিটির ডাক শুনুন
সবুজ টিয়া
Rose-ringed Parakeet
Psittacula krameri
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
আমাদের দেশের সর্বত্র পাওয়া যায় এই প্রজাতির টিয়াপাখি, শহর অঞ্চলেও মানুষের বাসাবাড়ি বিশেষ করে দালানের কোটরেও এরা বাসা করতে পারে তাই এরা বেশ ভালো সংখ্যায় টিকে গেছে। এরাও বন্যপ্রাণী শিকারীদের অন্যতম শিকার। বিভিন্ন ধরণের ফল ও শষ্য থেকে খাবার খাবার সংগ্রহ করতে পারে।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে

পাখিটির ডাক শুনুন
মেটে-মাথা টিয়া
Grey-headed Parakeet
Psittacula finschii
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
বাংলাদেশের বিরলতম প্রজাতির টিয়া এটি। বর্তমানে শুধুমাত্র চট্বগ্রাম বিভাগের উচু পাহাড়ি বনে এদের দেখা মেলে। পুরুষ ও স্ত্রী উভয়ের মাথার রঙ গাড় ছাইরঙ্গা। এখনো এর দেখা পাইনি।
বিশ্বে প্রায়-বিপদগ্রস্থ
এদেশে কমই দেখা মেলে

হিরামন টিয়া
Plum-headed Parakeet
Psittacula cyanocephala
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
এই টিয়াটির প্রাপ্তবয়স্ক পাখিগুলোর মাথা প্রজননকালে গাড় লালচে-বেগুনি রঙ ধারন করে যা অনেকটা পাকা কুল এর মত তাই এর এমন নাম। আমাদের দেশের পশ্চিমাঞ্চলে এদের দেখা পাওয়া যায়। বেশি রয়েছে রাজশাহী বিভাগে, খুলনা ও রংপুর বিভাগসহ সুন্দরবনেও পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত ছেড়ে দেয়া পাখিগুলোর মধ্যে কিছু ঢাকা শহরেও টিকে রয়েছে। প্রথম দেখা পেয়েছিলাম ঢাকার মিরপুরে, এখনো ছবি তুলতে পারিনি।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে

পাখিটির ডাক শুনুন
ফুল-মাথা টিয়া
Blossom-headed Parakeet
Psittacula roseata
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
আমাদের দেশে এই পাখিটিকে কমই দেখা যায়। সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে এদের সহজেই দেখা মেলে, এছাড়া চট্বগ্রাম বিভাগেও রয়েছে। এর বাইরে একে সুন্দরবনেও দেখা যায়, একমাত্র বন যেখানে হীরামন ও ফুলমাথা দুটোই রয়েছে। পুরুষ পাখিগুলোর মাথার রঙ হালকা গোলাপী, স্ত্রী পাখিদের মাথা ধুসর। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতছড়ি থেকে।
বিশ্বে প্রায়-বিপদগ্রস্থ
এদেশে কমই দেখা মেলে

পাখিটির ডাক শুনুন
মদনা টিয়া
Red-breasted Parakeet
Psittacula alexandri
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
আমাদের দেশের সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলে বড় সংখ্যায় এই প্রজাতির টিয়াকে দেখা যায়। চট্বগ্রাম বিভাগের কিছু স্থানে এদেরকে একসাথে কয়েক হাজার পাখির ঝাঁক গঠন করতে দেখা গেছে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে কাছাকাছি তবে পুরুষ পাখির উপরের ঠোট লাল, স্ত্রী পাখির কালো। দেশের অন্য অঞ্চলেও অল্প বিস্তর এদের দেখা মেলে, ঢাকা শহরে উদ্ধারকৃত পাখিদের একটা অংশ বাস করে। এদের প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতছড়ি থেকে।
বিশ্বে প্রায়-বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে

পাখিটির ডাক শুনুন
লটকন টিয়া
Vernal Hanging-Parrot
Loriculus vernalis
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট আকৃতির টিয়া এবং একমাত্র Parrot। সারাদেহ হালকা সবুজ এবং কোমরের কাছটা উজ্জ্বল লাল রঙ এর। লেজ খুব ছোট। আমাদের দেশের সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলে পাওয়া যায়, এছাড়া সম্প্রতি শেরপুরের গারো পাহাড়ে দেখা মিলেছে। এদের ডাক খুব তীক্ষ্ণ, খুব দ্রুত গাছের ডাল থেকে ডালে বিচরন করতে পারে। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতছড়ি থেকে।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
