বাংলাদেশে মোট পাঁচ প্রজাতির শুমচা দেখা গেছে
নীল-ঘাড় শুমচা
Blue-naped Pitta
Hydrornis nipalensis
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি/ গ্রীষ্মের পরিযায়ী
পরিযায়ী এই শুমচাটিকে আমাদের দেশের সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলে দেখা যায়। খুব লাজুক স্বভাবের এবং মানুষ দেখলেই দূরে দূরে থাকে। সারাদেহ বাদামি রঙ এর তবে ঘাড়ের কাছটা নীলচে, প্রজনন ঋতুতে তা বেড়ে পিঠের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি শেরপুর অঞ্চলের গারো পাহাড়েও এর দেখা পাওয়া গিয়েছে। এখনো এর দেখা পাইনি।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে কমই দেখা মেলে
দেশী শুমচা
Indian Pitta
Pitta brachyura
আমাদের দেশের গ্রীষ্মের পরিযায়ী
আমাদের দেশের শালবন জাতীয় বনাঞ্চলে গ্রীষ্মের পরিযায়ী হয়ে আসে এই পাখিটি। এর গায়ে নয়টি রঙ এর অত্যন্ত সুন্দর বাহার দেখা যায়। এর অপর প্রচলিত নাম হচ্ছে দেশী হালতি, নওরং ইত্যাদি। গাজীপুরের শালবন, টাংগাইলের মধুপুর, শেরপুর অঞ্চলের গারো পাহাড় সহ দিনাজপুর, বগুড়া ইত্যাদি অঞ্চলের খন্ড খন্ড শালবনেও এই পাখিটিকে নিয়মিত দেখা যায় প্রতি গ্রীষ্মে। রাজশাহীতে ও পাবনায়ও দেখা গিয়েছে। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম গাজীপুর থেকে।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
খয়েরী-মাথা শুমচা
Hooded Pitta
Pitta sordida
আমাদের দেশের গ্রীষ্মের পরিযায়ী
এই প্রজাতির শুমচাও আমাদের দেশের গ্রীষ্মের পরিযায়ী। এদেশের সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি বনে সহ ঢাকা বিভাগের দক্ষিণে এবং খুলনা বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ বনাঞ্চলে পাওয়া যায়। টাঙ্গাইলের মধুপুর ও গাজীপুরের শালবন থেকেও মাঝেমধ্যে পাওয়া যাবার খবর জানা যায়। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম খুলনা জেলার এক গ্রামীন বন থেকে।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
প্যারা শুমচা
Mangrove Pitta
Pitta megarhyncha
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি/ গ্রীষ্মের পরিযায়ী
আমাদের দেশের সুন্দরবনে সাধারনত পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বরগুনা জেলার ম্যানগ্রোভ বনেও পাওয়া যায় এই পাখিটিকে। এই পাখিটিকে গ্রীষ্মে বেশি পাওয়া যায় তবে সারাবছরই অল্পবিস্তর পাওয়া যায়, অর্থাৎ এদের কিছু হয়তো সারাবছর থাকে। সুন্দরবন থেকে এর ছবি তুলেছিলাম
বিশ্বে প্রায়-বিপদগ্রস্থ
এদেশে কমই দেখা মেলে
পাখিটির ডাক শুনুন
নীল শুমচা
Blue Pitta
Hydrornis cyaneus
আমাদের দেশের গ্রীষ্মের পরিযায়ী
বাংলাদেশের বিরলতম শুমচা, এদেশে পরিযায়ী। কয়েকদশকের মধ্যে এর দেখা এদেশে কেউ পেয়েছে বলে জানতে পারিনি। তবে এই পাখিটিকে বাংলাদেশের পাখির তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ সম্ভবত উত্তর-পুর্বাঞ্চলে পাওয়া যেত।