আবাবিল ও নাকুটি মিলিয়ে মোট নয় প্রজাতির দেখা মিলেছে এদেশে
ম্লান নাকুটি
Asian Plain/Grey-throated Martin
Riparia chinensis
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
বাংলাদেশের সুলভ এই আবাসিক নাকুটি পাখিটিকে প্রায় সারাদেশেই নদী ও নদী সংলগ্ন বিল এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়। এরা নদীর ধারের খাড়া পাড়ে গর্ত করে বাসা করে। একটানা উড়ে বেড়ায় ও উড়ন্ত অবস্থায় পোকা ধরে খায়। মাঝেমধ্যে পানি খেতে ডাইভ দেয়। নদীর ধারে বালুর উপরে, পুতে রাখা খুঁটিতে বা বিদ্যুতের তারে বসে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। এদের প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে

পাখিটির ডাক শুনুন
ধুসর বালু নাকুটি
Pale Sand Martin
Riparia diluta
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী
পরিযায়ী এই নাকুটি প্রজাতির পাখিটিকে বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে খুব কম দেখা মেলে

বালু নাকুটি
Collared Sand Martin
Riparia riparia
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী
পরিযায়ী এই প্রজাতির নাকুটিকেও সাধারনত নদী বা নদীর আশেপাশের এলাকায় দেখা যায়। তবে পরিযায়ী বলে অন্যান্য স্থানের উপর দিয়েও উড়ে যেতে দেখা যেতে পারে। এদের ঘাড়ে সাদা কলার থাকে তাই এদের এমন নাম। আমাদের দেশে প্রজনন করে না। ম্লান নাকুটির সাথে শীতের শুরুতে বেশ সাদৃশ্য রয়েছে তবে শীতের শেষে সহজেই আলাদা করা যায়। এদের প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার অদূরে কেরানিগঞ্জ থেকে।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে

মেঠো আবাবিল
Barn Swallow
Hirundo rustica
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায় এই সুলভ আবাবিল পাখিটিকে। আকাশে দলে দলে উড়তে আর পানির উপর দিয়ে উড়ে উড়ে পানিতে ভেসে থাকা ও আকাশে উড়তে থাকা পোকা ধরে খাঁয়। দলবেঁধে পুতে রাখা খুটি/কঞ্চি বা বিদ্যুতের তারের উপর বসে রোদ পোহাতেও দেখা যায়। শীতের শেষে এদের দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। এদের ছবি তোলা বেশ কষ্টকর কারন খুব দ্রুত ও এলোমেলো ওড়াউড়ি করে। প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতক্ষীরা জেলা থেকে। এরা উপমহাদেশে শীত ও গরমকালে অল্প দুরত্বের পরিযায়ন করে থাকে। ফলে শীতে বেশি সংখ্যায় ও গরমকালে অল্প সংখ্যায় দেখা যায়। দেশের কিছু এলাকায় এদের প্রজনন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে

পাখিটির ডাক শুনুন
সুতা-লেজি আবাবিল
Wire‑tailed Swallow
Hirundo smithii
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী
বাংলাদেশে এই প্রজাতির আবাবিল পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে কয়েক দশক ধরে এর দেখা পাওয়া যায়নি আর। আমাদের দেশে শীতের পরিযায়ী, রাজশাহী ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে শীতে পাওয়া যেতে পারে। এদের মাথায় লাল টুপি ও গলা-বুক সাদা হয়। প্রজননকালে লেজের আগায় দুপাশে লম্বা সুতার মত পালক হয় তাই এদের এমন নাম।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে খুব কম দেখা মেলে

লাল-কোমর আবাবিল
Red-rumped Swallow
Cecropis daurica
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী
বাংলাদেশের পুর্বাঞ্চলের উচু পাহাড়ি এলাকায় পরিযায়ন করে আসে এরা। পথিমধ্যে সমতলে অনেক যায়গায় বিরতি দেয়। এজন্য এই প্রজাতির আবাবিলটিকে শীতের শুরুতে যাবার সময় ও শীতের শেষে ফেরার সময় বেশি দেখা যায়। এই আবাবিলের প্রথম ছবি তুলেছিলাম রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি থেকে। এদের দেহে লালচে আভা থাকে ও কোমরের উপরিভাগ লালচে, এজন্য এমন নাম। এছাড়া বুকে লম্বা লালচে দাগ দাগ দেখা যায়।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা

ডোরা-গলা আবাবিল
Streak-throated Swallow
Petrochelidon fluvicola
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী
বিরল এই পরিযায়ী আবাবিলটি আকারে বেশ ছোট, লেজের আকা চৌকোনাকার, গলার কাছে দাগদাগ রয়েছে এবং মাথার উপরে লাল টুপি রয়েছে। খোলা মাঠ জাতীয় ভেজা বিল এলাকায় অন্যান্য আবাবিলদের সাথে শীতে কয়েকটি করে এই প্রজাতির আবাবিল দেখতে পাওয়া যায়। এর ছবি প্রথম তুলেছিলাম ঢাকার পাশে কেরানিগঞ্জ থেকে।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে কমই দেখা মেলে

এশীয় ঘর-নাকুটি
Asian House-Martin
Delichon dasypus
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী
পরিযায়ী এই ঘর-নাকুটি পাখিটিকে মূলত আমাদের দেশের চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় উড়তে দেখা যায়। দেখতে বেশ সুন্দর। তবে পাহাড়ের বাইরে সুন্দরবন থেকেও এর দেখা মিলেছে, পরিযায়নের পথে অন্য যায়গায়ও দেখা যেতে পারে। এখনো এর দেখা পাইনি।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে কমই দেখা মেলে

নেপালী ঘর-নাকুটি
Nepal House-Martin
Delichon nipalense
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি
আমাদের দেশের আবাসিক এই ঘর-নাকুটি পাখিটিকে চট্বগ্রাম বিভাগের উচু পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়। ঝর্ণার খাড়া দেয়ালে কিংবা পাহাড়ের একপাশের খাড়া দেয়ালে মাটিতে নিপুনভাবে একসাথে অনেকগুলো পাখি মিলে কলোনী ধরণের বাসা তৈরী করে। এর দেখা পাইনি এখনো।
বিশ্বে ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে খুব কম দেখা মেলে
