বাংলাদেশের বাতাসী

বাংলাদেশে বাতাসী, সুই-বাতাসী ও কুটি-বাতাসী মিলে মোট ০৭ প্রজাতির পাখি পাওয়া গেছে।

সাদা-কোমর সুইবাতাসী

White-rumped Spinetail

Zoonavena sylvatica
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী

আমাদের দেশের বিরল বাতাসী। সম্ভবত পরিযায়ী। আমাদের দেশের পাখির তালিকায় এর নাম রয়েছে তবে বেশ কয়েক দশক ধরে এর দেখা পাওয়া যায়নি। চট্বগ্রাম বিভাগের দিকে উচু পাহাড়ি অঞ্চলে এর দেখা পাওয়া যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বে নূন্যতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে খুব কম দেখা মেলে
এখনো দেখা পাইনি

রুপালী-পিঠ সুইবাতাসী

Silver-backed Needletail

Hirundaps cochinchinensis
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী

এই পাখিটিও আমাদের দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে তবে বহু বছর ধরে এর দেখা মেলেনি।

বিশ্বে নূন্যতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে খুব কম দেখা মেলে
এখনো দেখা পাইনি

খয়রা-পিঠ সুইবাতাসী

Brown-backed Needletail

Hirundapus giganteus
আমাদের দেশের শীতের পরিযায়ী

আমাদের দেশের বেশ দুর্লভ পাখি এটি, চট্বগ্রাম বিভাগের উচু পাহাড়ি বনাঞ্চলে এর দেখা মেলে। কয়েকটি পাখি একত্রে গাছপালার ফাকফোকর দিয়ে ও আকাশে খুব দ্রুত উড়ে বেড়ায় এরা। এখনো এর দেখা পাইনি।

বিশ্বে নূন্যতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে কমই দেখা মেলে
এখনো দেখা পাইনি

হিমালয়ী কুটিবাতাসী

Himalayan Swiftlet

Aerodramus brevirostris
আমাদের দেশের আবাসিক/শীতের পরিযায়ী

আমাদের দেশের চট্বগ্রাম বিভাগের উপকূলে সাধারনত এই প্রজাতির বাতাসীকে পরিযায়ন করে আসতে দেখা যেত। তবে সেখানে পাহাড়ি অঞ্চলে সহ সম্প্রতি কয়েক বছরে সুনামগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ এর হাওড় অঞ্চলে এমনকি ঢাকা শহরেও তালবাতাসীর ঝাঁকে একদুটো করে পাখি দেখা মিলেছে, তাতে ধারনা করা যাচ্ছে এর বিস্তৃতি আরও ছড়ানো, এবং এর কিছু সংখ্যক আমাদের দেশের আবাসিক পাখিও হতে পারে। এদের চোখ বড় বড়, আকারে তালবাতাসীর চেয়ে ছোট আর লেজের আগা চৌকোনা।

বিশ্বে নূন্যতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
এখনো দেখা পাইনি

চেরালেজ বাতাসী

Pacific Swift

Apus pacificus
আমাদের দেশের আবাসিক/শীতের পরিযায়ী

আমাদের দেশের সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় এই প্রজাতির বাতাসীর দেখা মেলে। মাঝেমধ্যে বড় ঝাঁক দেখা যায়। এদের দেহের নিচের দিকে মাছের আঁশের মত চাকা চাকা রয়েছে, কোমর সাদা আর লেজে মাছের মত চেরা রয়েছে। সম্প্রতি এই পাখিটি বেশ কয়েকটি প্রজাতিতে বিভক্ত হয়েছে তার মধ্যে Fork-tailed Swift, Blyth’s Swift, Salim ALi’s Swift ইত্যাদি তবে বাংলাদেশে তা এখনো গৃহীত হয়নি। বাংলাদেশে পাওয়া যাওয়াটি সম্ভবত Blyth’s Swift এবং আগে পরিযায়ী ধারনা করা হলেও আসলে এরা আবাসিক। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি থেকে।

বিশ্বে নূন্যতম বিপদগ্রস্থ !!
এদেশে মাঝেমাঝে দেখা মেলে
চেরালেজ বাতাসী, রাঙামাটি

ঘর বাতাসী

House Swift

Apus nipalensis
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি

আমাদের দেশের সকল অঞ্চলেই সহজে দেখা মেলে এই প্রজাতির বাতাসীর। এরা মানুষের তৈরী দালানকোঠার কার্নিশ ও সিড়িঘর জাতীয় যায়গায় ছাদের ঝুলন্ত বাসা তৈরী করে। একসাথে অনেক পাখি মিলে বাসা করে কলোনী স্থাপন করে। এদের লেজের আগা চৌকোনা এবং কোমর ও থুতনির নিচে সাদা। ঢাকা শহরের বেশ কিছু স্থানে এদের বড় কলোনী রয়েছে যেখানে কয়েকশো থেকে হাজারের কাছাকাছি পাখি একত্রে দেখা যায় মেঘলা বিকেলে। প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকায় বাসার ছাদ থেকেই।

বিশ্বে নূন্যতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে
ঘর বাতাসী, জামালপুর
পাখিটির ডাক শুনুন
Play
Pause

এশীয় তালবাতাসী

Asian Palm Swift

Cypsiurus balasiensis
আমাদের দেশের আবাসিক পাখি

নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এরা তালগাছ এ বাসা করে ।আমাদের দেশের সুলভ আবাসিক পাখি, সারাদেশের সকল ধরণের প্রতিবেশেই এদের দেখা মেলে, তবে তালগাছের আশেপাশে পাওয়া যায়, খাবারের সন্ধানে বেশ কিছুদূর চলে যেতে পারে। তালগাছের পাতার ফাকে এরা আশ্রয় নেয় ও বাসা করে। সরু দেহ এবং লম্বা লেজ রয়েছে এদের, দেখতে গাড় খয়েরী/বাদামী রঙ এর হয়। এদের প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতক্ষীরা থেকে।

বিশ্বে নূন্যতম বিপদগ্রস্থ
এদেশে সহজে দেখা মেলে
তালবাতাসী, ঢাকা
পাখিটির ডাক শুনুন
Play
Pause

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top