বাংলাদেশের চট্বগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ভ্যালি। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রাই আড়াই হাজার উচুতে অবস্থিত ফলে এই এলাকায় উচু পাহাড়ী পাখিদের দেখা মেলে একটু খুজলেই।
প্রকৃতি উপভোগ করতে হলে যেতে হবে ছুটির দিন বাদ দিয়ে। বসন্তের শুরুতে যাওয়ার সর্বোত্তম সময়। সাজেক এ প্রধান রাস্তার দুইপাশে কংলাক পাহাড় পর্যন্ত যেতে প্রচুর পাহাড়ি ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে, ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে সেসব গাছে ফুল ও ফল খাবার জন্য প্রচুর পাহাড়ি বনের পাখির সমাগম হয়।
এছাড়া এই এলাকায় বেশ কিছু ট্রেইল ধরে পাহাড়ের নিচের দিকে চলে যাওয়া যায় যেখানে অনেক পাহাড়ের ছোট পাখির দেখা মিলবে। সাথে রিসোর্ট মালিককে বলে গাইড নেয়া বাঞ্চনীয়।
এই অঞ্চলটি বেশ উচুতে হওয়ায় পাহাড়ি অঞ্চলের বেশ কিছু শিকারী পাখি এবং বাতাসী-সুইবাতাসীর দেখা মেলে বেশ সহজেই। বিশেষ করে কালো ঈগল, পাহাড়ি শিকরে ঈগল, ইউরেশীয় টিকা-শাহীন, চেরা-লেজ বাতাসী, বাদামী-পিঠ সুইবাতাসী, হিমালয়ী কুটিবাতাসী ইত্যাদির দেখা মিলে যেতে পারে।
এছাড়া এই এলাকায় কমলা-পেট হরবোলা, বড় বসন্তবৌরী, তামারং বেনেবৌ ইত্যাদি পাখির দেখা মেলে যা সহজে অন্যান্য বনে দেখা মিলবে না।
খাগড়াছড়ির দিঘীনালা পর্যন্ত সহজেই আপনি বাসে করে পৌছতে পারবেন। এরপরে সেখান থেকে চাঁদের গাড়ি বা বাজাজ সিএনজি রিজার্ভ করে সাজেক পৌছে যেতে পারবেন। কমপক্ষে চার বা আটজনের দল হলে খরচ কমে আসবে। সাজেকে প্রচুর রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে, আগে থেকে যোগাযোগ করে বুকিং দিয়ে যেতে পারেন।