বনের পাখির হটস্পট

Garo Hills of Sherpur

এক নজরে হটস্পটের ধরন ইকো পার্ক ঢাকা থেকে দুরত্ব ২১০ কিঃমিঃ নিকটতম শহর শেরপুর জেলা নিকটতম স্ট্যান্ড/স্টেশান শেরপুর সদর আয়তন ৩০০ হেক্টর প্রধান প্রতিবেশ মিশ্র পত্রঝরা বড়পাতার বন ভ্রমণের সেরা সময় শীতকাল, গ্রীষ্মকাল উল্লেখযোগ্য পাখি সোনা-কপালি হরবোলা খয়েরী-পাখ পাপিয়া নীল-ঘাড় শুমচা কালো-ঝুটি বুলবুল চুনি-গাল মৌটুসী এশীয় ডোরা পেঁচা সাদা-চোখ তিশাবাজ হালকা-নীল চুটকি বড় চোখগ্যালো পাপিয়া মেটে হাড়িচাচা ঢাকার মহাখালি বাস টার্মিনাল থেকে সরাসরি শেরপুর জেলার বাস পেয়ে যাবেন। খুব বিলাশবহুল বাস এই র‍্যুটে নেই। সাদিকা, সোনার বাংলা, জাবির ইত্যাদি বাসে চড়ে আপনাকে প্রায় ৫ ঘন্টা পরে নামিয়ে দেবে শেরপুর জেলা সদরে। জেলা সদরের খোয়ার পাড়/শাপলা চত্বর নামক স্থান থেকে পেয়ে যাবেন সিএনজি। গজনি অবকাশ কেন্দ্রে যেতে চাইলে ঝিনাইগাতি অভিমূখী সিএনজি এবং মধুটিলা ইকো পার্ক যেতে চাইলে নালিতাবাড়ি অভিমুখে সিএনজিতে চড়ে বসতে হবে। রিজার্ভ নেয়া যেতে পারে দরদাম করে, এক ঘন্টার মধ্যে পৌছে যাবেন স্পটে। টিকিট কেটে নিজে নিজেই সহজে ঘুরে দেখতে পারবেন এলাকাগুলো। ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে জামালপুর পর্যন্ত ট্রেনে, এরপরে সিএনজিতে শেরপুর এরপরে বাকিটা একই।  শেরপুরের বনাঞ্চলে হাতির আনাগোনা রয়েছে তাই খোজখবর নিয়ে ঢুকতে হবে। ইকো-পার্ক এলাকার বাইরে বেশী ঘুরাঘুরি অনুচিত হবে, কারন সীমান্ত খুব বেশী ভেতরে নয়।  

Garo Hills of Sherpur Read More »

Modhupur National Park – Tangail

এক নজরে মধুপুর জাতীয় উদ্যান হটস্পটের ধরন জাতীয় উদ্যান ঢাকা থেকে দুরত্ব ১৬০ কিঃমিঃ নিকটতম শহর মধুপুর নিকটতম স্ট্যান্ড/স্টেশান মধুপুর, টাঙাইল আয়তন ৮৫০০ হেক্টর প্রধান প্রতিবেশ পত্রঝরা বড় পাতার বন ভ্রমণের সেরা সময় শীতকালে, গ্রীষ্মকালে উল্লেখযোগ্য পাখি দেশী শুমচা বহুরূপি শিকরে ঈগল পম্পাডুর হরিয়াল মেটে-পা ঝিল্লি তিলা নাগ ঈগল সাদা-কোমর শ্যামা এবটের ছাতারে সাদা-লেজ নীল দোয়েল টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলাব্যাপী বিস্তৃত বেশ বড় আকারের সমৃদ্ধ এই বনে আজও দেখা মেলে নানান ধরনের পাখির। তবে এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার এবং নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।  ঢাকার মহাখালি বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বেশ কয়েকটি বাস রয়েছে মধুপুরের উদ্দেশ্যে। সেগুলোতে চড়ে সহজেই পৌছে যেতে পারেন এখানে, এরপরে বাস থেকে নেমে অটো বা সিএনজিতে চড়ে যেতে হবে উদ্যানের গেট পর্যন্ত। জাতীয় উদ্যানটির পুরো এলাকা বন বিভাগের টহলের আওতায় নেই তাই অবশ্যই ভেতরে বেড়াতে হলে কয়েকজনের দল একসাথে যান কিংবা গেট থেকে লোকাল গাইড বা টুরিস্ট পুলিশের সহযোগিতা নিন।  এই বনে শীতে অনেক বিরল পাখি যার মধ্যে সাদা-গলা কালোপাখি, সাদা-চশমা ফুটকি ইত্যাদি পাওয়া যাবার কথা উল্লেখ রয়েছে, এছাড়া এই বনের বড় পুরাতন গাছে বেশ কিছু প্রজাতির বড় পেঁচার আবাস ছিলো। তবে সম্প্রতি সেগুলোর আপডেট আমার কাছে নেই, হয়তো এখনো আছে, হয়তো আর টিকে নেই।  এই বন প্রজাপতির জন্য বেশ বিখ্যাত, বর্ষাকালের আগে গেলে প্রচুর প্রজাপতির দেখা মেলে। এছাড়া এই অঞ্চলে এখনো বনমোরগ ও মায়া হরিনের মত প্রাণী টিকে রয়েছে। এছাড়া রয়েছে লাল বানর ও মুখপোড়া হনুমান ও বন্য শুকর। আশা করি আপনাদের বেড়িয়ে ভালো লাগবে। এই অঞ্চলে প্রচুর আনারসের চাষ হয় যা দেশবিখ্যাত, সুযোগ পেলে আনারসের মিষ্টি রসে মুখ রাঙিয়ে আসতে পারেন।  

Modhupur National Park – Tangail Read More »

Sajek Valley – Rangamati

বাংলাদেশের চট্বগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত সাজেক ভ্যালি। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রাই আড়াই হাজার উচুতে অবস্থিত ফলে এই এলাকায় উচু পাহাড়ী পাখিদের দেখা মেলে একটু খুজলেই। প্রকৃতি উপভোগ করতে হলে যেতে হবে ছুটির দিন বাদ দিয়ে। বসন্তের শুরুতে যাওয়ার সর্বোত্তম সময়। সাজেক এ প্রধান রাস্তার দুইপাশে কংলাক পাহাড় পর্যন্ত যেতে প্রচুর পাহাড়ি ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে, ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে সেসব গাছে ফুল ও ফল খাবার জন্য প্রচুর পাহাড়ি বনের পাখির সমাগম হয়। এছাড়া এই এলাকায় বেশ কিছু ট্রেইল ধরে পাহাড়ের নিচের দিকে চলে যাওয়া যায় যেখানে অনেক পাহাড়ের ছোট পাখির দেখা মিলবে। সাথে রিসোর্ট মালিককে বলে গাইড নেয়া বাঞ্চনীয়। এই অঞ্চলটি বেশ উচুতে হওয়ায় পাহাড়ি অঞ্চলের বেশ কিছু শিকারী পাখি এবং বাতাসী-সুইবাতাসীর দেখা মেলে বেশ সহজেই। বিশেষ করে কালো ঈগল, পাহাড়ি শিকরে ঈগল, ইউরেশীয় টিকা-শাহীন, চেরা-লেজ বাতাসী, বাদামী-পিঠ সুইবাতাসী, হিমালয়ী কুটিবাতাসী ইত্যাদির দেখা মিলে যেতে পারে। এছাড়া এই এলাকায় কমলা-পেট হরবোলা, বড় বসন্তবৌরী, তামারং বেনেবৌ ইত্যাদি পাখির দেখা মেলে যা সহজে অন্যান্য বনে দেখা মিলবে না। খাগড়াছড়ির দিঘীনালা পর্যন্ত সহজেই আপনি বাসে করে পৌছতে পারবেন। এরপরে সেখান থেকে চাঁদের গাড়ি বা বাজাজ সিএনজি রিজার্ভ করে সাজেক পৌছে যেতে পারবেন। কমপক্ষে চার বা আটজনের দল হলে খরচ কমে আসবে। সাজেকে প্রচুর রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে, আগে থেকে যোগাযোগ করে বুকিং দিয়ে যেতে পারেন।

Sajek Valley – Rangamati Read More »

Hazarikhil Wildlife Sanctuary – Chittagong

চট্বগ্রাম বিভাগের অন্যতম সমৃদ্ধ বন এটি। সহজেই পৌছনো যায় এবং সহজেই পাখির দেখা মেলে। বেশ বিরল কিছু পাখির দেখা সহজেই মেলে এই বনে। চট্বগ্রাম জেলার হাটহাজারি উপজেলার অন্তর্গত বিবিরহাট বাজার থেকে সহজেই সিএনজি বা গাড়িতে করে পৌছনো যায় হাজারিখিল বন্যপ্রানী অভয়ারন্যে। টিকিট কেটে গাইড নিয়ে সহজেই সারাদিনে ঘুরে বেড়াতে পারেন অভয়ারণ্যের বেশ কয়েকটি ট্রেইল, চা-বাগান ইত্যাদি। রয়েছে পাবলিক টয়লেট, বাচ্চাদের খেলার যায়গা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা এবং রাতে ক্যাম্পিং এর সুবিধা। পাশেই হাজারিখিল বাজার, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। এই বনে বনমুরগী জাতীয় ৫-৬ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে একটু চেষ্টা করলেই, এছাড়া লাল-মাথা কুচকুচি, মেটে বুলবুল, নীলডানা হরবোলা, ৫ রকমের পেঙ্গা, বিভিন্ন দুর্লভ ছাতারে সহ নানা রকমের পাখির দেখা মেলে এই বনে ও বন সংলগ্ন স্থানে। বনের ভেতরে রয়েছে উপজাতীদের ছোট পুঞ্জি বা গ্রাম, সেখানে তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারনা পাবেন। সারাদিনে ঘুরে সহজেই আবার শহরে ফিরে আসা যায় চাইলে।

Hazarikhil Wildlife Sanctuary – Chittagong Read More »

Sangu-Matamuhuri Reserve Forest – Bandarban

থানচি-আলীকদম সড়ক থেকে কয়েক ঘন্টা হেটে সহজেই এই বনে পৌছনো যায়। বাংলাদেশের উচু পাহাড়ি বনের পাখি চাইলে এখানে আসা আবশ্যক। তবে যায়গাটি হুমকির মুখে।

Sangu-Matamuhuri Reserve Forest – Bandarban Read More »

Rajkandi Reserve Forest – Moulvibazar

সিলেট বিভাগের সবচেয়ে সমৃদ্ধ বন সম্ভবত এটি। সিলেট বিভাগে পাওয়া যাওয়া সকল ধরনের বনের পাখিই এখানে মেলে। যেতে বিশেষ অনুমতির দরকার হয়।

Rajkandi Reserve Forest – Moulvibazar Read More »

Kotka and Jamtola – Sundarban

সুন্দরবন পূর্বাঞ্চলে সর্বদক্ষিনের দুটি স্পট। কয়েকদিনের প্লানে সুন্দরবন বেড়াতে এলে এই এলাকায় পাখি দেখতে আপনার অবশ্যই যাওয়া উচিত।

Kotka and Jamtola – Sundarban Read More »

Karamjal and Harbaria – Sundarban

সুন্দরবনের অন্যতম সহজগম্য স্পট হচ্ছে করমজল ও হারবাড়িয়া। সহজেই একদিনে এই দুইটি যায়গা দেখে আসা যায়, সুন্দরবনের বেশিরভাগ পাখিই এখানে মেলে।

Karamjal and Harbaria – Sundarban Read More »

Satchari National Park – a Bird Heaven in Habiganj

বাংলাদেশে সংরক্ষিত বনাঞ্চল গুলো বেশ কয়েক ভাগে বিভক্ত। শুরুতেই আছে কয়েকটি ইকো পার্ক, এরপরে রয়েছে জাতীয় উদ্যান, এছাড়া আছে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আর সংরক্ষিত বনাঞ্চল। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট এ অবস্থিত সাতছড়ি বন তেমনই একটি জাতীয় উদ্যান। রঘুনন্দন পাহাড় এর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের একটি অংশ এটি। আয়তনে মাত্র ২৪৫ হেক্টর। অথচ প্রাণীবৈচিত্রে অনন্য। ঢাকা থেকে খুব কাছে অবস্থিত হওয়ায় পাখিপ্রেমীদের কাছেও এটি দারুন পছন্দের যায়গা। মাত্র ৪-৫ ঘন্টায়ই ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে এখানে পৌছনো যায়। এই ছোট্ট বনে এপর্যন্ত প্রায় ২৫০+ প্রজাতির পাখির দেখা পাওয়া গেছে। এই বনে প্রাণীবৈচিত্র ভালো হবার কারন হচ্ছে এখানে প্রচুর ফলদ ও বনজ গাছ পাওয়া যায়। এছাড়া বেশ কিছু জলাশয় রয়েছে ফলে স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পাখিদের খাবার ও পানীয়ের অভাব হয় না। বেশ কিছু বিরল ও বিপন্ন স্তন্যপায়ী, সরিসৃপ ও অন্যান্য প্রাণীকূলের আবাস এই বন। এই জাতীয় উদ্যানে বন বিভাগের তৈরী করে দেয়া ওয়াচটাওয়ারের পাশেই অবস্থিত মান্দার গাছে বসন্তে পাখিদের মেলা বসে। শুধু এক মান্দার গাছেই প্রায় ৪০+ প্রজাতির পাখিকে খেতে আসতে দেখা গেছে। এছাড়া রয়েছে শিমুলসহ বেশ কিছু পাখিবান্ধব গাছ। এই বনে পাওয়া যাওয়া উল্লেখযোগ্য পাখিদের মধ্যে আছে- বেশ অনেক রকমের বুলবুলি, সাহেলী, মৌটুসী ও ফুলঝুরী, বিভিন্ন ধরনের দোয়েল ও দামা, বিভিন্ন ধরনের ছাতারে, কাস্তে-ছাতারে ও পেঙ্গা, বিভিন্ন ধরনের পেঁচা, হরবোলা, নীলমনি ও চুটকির দল। এছাড়াও রয়েছে শিকারী পাখি ও বিভিন্ন ধরনের বনমোরগ। ঢাকা থেকে সহজেই নিজস্ব গাড়িতে, বাসে বা ট্রেনে পৌছতে পারবেন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। বাসে বা ট্রেনে গেলে শায়েস্তাগঞ্জ নেমে সহজেই সিএনজিতে উদ্যানে আসা যাবে। উদ্যানের গেটের পাশেই রয়েছে স্টুডেন্ট ডর্মিটরি, এছাড়া আছে বন বিভাগের বাংলো। দুই যায়গাতেই থাকার জন্য আগে থেকে বুকিং দিয়ে আসতে হবে। উদ্যানের গেটের পাশেই গাড়ি পার্কিং, খাবার হোটেল, মসজিদ রয়েছে। ফোনের নেটওয়ার্ক তেমন একটা পাওয়া যায় না ঘন বন হওয়ায়। বনের ভেতর রয়েছে দক্ষ ইকো গাইড ও টুরিস্ট পুলিশ, চাইলে যাদের নিয়ে বনে প্রবেশ করতে পারবেন। উদ্যানের সীমানার বাইরে রয়েছে তেলিয়াপাড়া চা বাগান, সেখানেও বেড়ানোর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ রয়েছে। ভ্রমণে অবশ্যই প্রকৃতির প্রতি সহানুভূতিশীল হোন, যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ও আবর্জনা ফেলবেন না। উদ্যানের মধ্যে হইচই ও আগুন জ্বালাবেন না, বন্যপ্রাণীদের উত্ত্যক্ত করবেন না, সীমান্ত এলাকা তাই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

Satchari National Park – a Bird Heaven in Habiganj Read More »

Scroll to Top