ফটো লাইফার

বাংলাদেশের চুটকি, রবিন ও অন্যান্য

বাংলাদেশে চুটকি, দোয়েল, চেরালেজ, শিলা-দামা, শিলা ও ঝাড়ফিদ্দা, সাদা-কান ইত্যাদি মিলিয়ে মোট ৫৭ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে কালা-পাশ চুটকিচ Dark-sided Flycatcher Muscicapa sibirica আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি পরিযায়ী এই চুটকি বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলেই পাওয়া যেতে পারে, সাধারনত বনের আশেপাশে। এর বুকের দুইপাশটা কালচে রঙ এর হয়, বয়স কম হলে বুকে ফোটা ফোটা দাগ থাকে। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার মিরপুর থেকে। এরা কয়েকটি ফাকা ডাল পছন্দ করে তাতে বসে এবং উড়ে উড়ে শিকার ধরে সেসব ডালেই বারবার ফিরে আসতে পছন্দ করে।   বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে পাখির নাম, জেলা পাখিটির ডাক শুনুন মরচেেরং চুটকি Ferruginous Flycatcher Muscicapa ferruginea আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি বাংলাদেশের অত্যন্ত বিরল এক পরিযায়ী চুটকি। সর্বশেষ খুলনা জেলায় পাওয়া গেছিলো। এর আগে কয়েক দশকের মধ্যে সম্ভবত এর কোন সাইটিং নেই দেশে। বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে পাখির নাম, জেলা পাখিটির ডাক শুনুন এশীয় বাদামী চুটকি Asian Brown Flycatcher Muscicapa dauurica আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি ছোট আকারের এই চুটকিটিও পরিযায়ী এবং সারাদেশেই উদ্যান ও বনাঞ্চল জাতীয় স্থানে পাওয়া যায়। এদের পা কালো, নিচের ঠোটের গোড়ার কাছটা ফ্যাঁকাসে এবং চোখ বড় বড়। প্রথম ছবি তুলেছিলাম রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি থেকে। বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে পাখির নাম, জেলা পাখিটির ডাক শুনুন বাদামী-বুক চুটকি Brown-breasted Flycatcher Muscicapa muttui আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি খাটো আকৃতির ফ্যাঁকাসে রঙ এর পা বিশিষ্ট এই চুটকিটির দেহের উপরিভাগ ও বুক-পেট বাদামী রঙ এর। এছাড়া চোখ বড় বড় এবং ঠোটও পায়ের মত ফ্যাঁকাসে। মাঝেমধ্যে দেহ একটু গাড় রঙ এর হয় তখন মরচেরং চুটকির সাথে সাদৃশ্য মনে হতে পারে। এরা আমাদের দেশে পরিযায়ী আবার পান্থ-পরিযায়ীও বটে। প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার মিরপুর থেকে। বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে পাখির নাম, জেলা পাখিটির ডাক শুনুন তিলা চুটকি Spotted Flycatcher Muscicapa striata আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি আমাদের দেশের অত্যন্ত বিরল চুটকি এটি। দেশে একবারই পাওয়া গিয়েছে, সেটা হচ্ছে ২০১৭ সালে পটুয়াখালির কুয়াকাটায় উপকূলীয় অঞ্চল থেকে। এরা সম্ভবত আমাদের দেশে বিরল পান্থ-পরিযায়ী। বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে পাখির নাম, জেলা পাখিটির ডাক শুনুন দোয়েল Oriental Magpie-Robin Copsychus saularis আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি বাংলাদেশের জাতীয় পাখি, সারাদেশের সকল স্থানে পাওয়া যায় এবং আমরা প্রায় প্রতিদিনই এর ডাক ও গান শুনতে পাই। সকল ধরনের প্রতিবেশে টিকে থাকতে পারে, অনেক ধরনের উৎস থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পারে আর গাছের কোটর বা বাসাবাড়ির ফোঁকরেও বাসা করতে পারে। এদের অনেক ধরনের গান রয়েছে, তার উপর অন্য পাখির গান নকল করতেও ওস্তাদ। বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে পাখির নাম, জেলা পাখিটির ডাক শুনুন সাদা-কোমর শ্যামা White-rumped Shama Copsychus malabaricus আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি জাতীয় পাখি দোয়েলের আত্বীয় আরেক গায়ক পাখি, তবে দুঃখজনকভাবে এর সংখ্যা দেশের জনপদগুলোতে কমে গিয়েছে ব্যপকহারে। এখন শুধুমাত্র বনাঞ্চলগুলোতেই পাওয়া যায়, সাথে নির্দিষ্ট কিছু গ্রামীন বনে রয়েছে। লম্বা লেজ ও কোমরের কাছটা উজ্জ্বল সাদা পালকে ঢাকা। এরাও খুব সুন্দর গান করে এবং অন্য পাখির ডাক নকল করতে পারে। উত্তেজিত হয়ে লম্বা লেজটাকে খাড়া করে তোলে আবার নামায়। স্ত্রী পাখি একটু অনুজ্জল রঙ এর হয়। প্রথম ছবি তুলেছিলাম হবিগঞ্জের সাতছড়ি বন থেকে। বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে পাখির নাম, জেলা পাখিটির ডাক শুনুন ধলা-গলা চুটকি Pale-chinned Blue Flycatcher Cyornis poliogenys আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি বাংলাদেশের আবাসিক এই চুটকিটিকে দেশের সকল পাহাড়ি বনে এবং সুন্দরবনে দেখা যায়। এদের ঠোটের ঠিক নিচে থুতনির যায়গাটা ফ্যাঁকাসে রঙ এর। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম মৌলভিবাজারের কুলাউড়ায়। বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে পাখির নাম, জেলা পাখিটির ডাক শুনুন হালকা-নীল চুটকি Pale Blue Flycatcher Cyornis unicolor আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি অপেক্ষাকৃত কম পাওয়া যায় এই নীল চুটকিটিকে তবে দেশের বেশ কিছু বনে এর উপস্থিতি রয়েছে। নাম দেখেই বোঝা যায় এর দেহের রঙ হালকা নীলাভ, ঠোট শক্তিশালি আর পুচ্ছদেশের দিকটা আরও হালকা নীল। সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলগুলোর সাথে সম্প্রতি গারো পাহাড়ে কয়েকবার দেখা গেছে। এখনো এর দেখা পাইনি। বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে পাখির নাম, জেলা পাখিটির ডাক শুনুন বড় নীল চুটকি Large Blue-flycatcher Cyornis magnirostris আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি পাহাড়ি নীল চুটকির থেকে আলাদা হয়ে নতুন প্রজাতি হয়েছে এই বড় নীল চুটকি। আমাদের দেশের পরিযায়ী পাখি। চট্বগ্রাম বিভাগের এক বন থেকে একে বেশ কয়েকবছর আগে প্রথম পাওয়া গিয়েছিলো। বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে পাখির নাম, জেলা পাখিটির ডাক শুনুন নীলগলা নীল চুটকি Blue-throated Blue Flycatcher Cyornis rubeculoides আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি বেশ সুলভ এই নীল চুটকিটিকে প্রায় সারাদেশেই বড় গাছপালা বিশিষ্ঠ জংলামত যায়গায় দেখা যায়। এদের গলা নীল হয়, এর নিচে বুকের কাছটা কমলাটে, আর পায়ের রঙ কালো, দেহের উপরিভাগ গাড় নীল। প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার সাভার থেকে। এরপর ঢাকার মিরপুর সহ দেশের অনেক বনেই এর দেখা পেয়েছি। বিশ্বে মহাবিপন্ন, বিপন্ন, সংকটাপন্ন, প্রায়-বিপদগ্রস্থ, ন্যুনতম বিপদগ্রস্থ এদেশে সহজে দেখা মেলে, মাঝেমাঝে দেখা মেলে, কমই দেখা মেলে, খুব কম দেখা মেলে পাখির নাম, জেলা পাখিটির ডাক শুনুন পাহাড়ি নীল চুটকি Hill Blue Flycatcher Cyornis whitei আমাদের দেশের আবাসিক পাখি শীতের পরিযায়ী গ্রীষ্মের পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি এটি বাংলাদেশের আরেকটি পরিযায়ী নীল চুটকি। পুরুষ পাখিগুলোর ঠোটের গোড়া থেকে শুরু করে বুক ও পেটের বড় অংশ জুড়ে কমলা

বাংলাদেশের চুটকি, রবিন ও অন্যান্য Read More »

বাংলাদেশের দামা ও কালোপাখি

Himalayan (Plain-backed) Thrush (Zoothera salimalii) সালিম আলীর দামা এই পরিযায়ী বিরল দামাটিকে ঢাকার সাভারে পাওয়া গেছিলো আশ্চর্যজনকভাবে। এখনো দেখা পাইনি। Dark-sided Thrush (Zoothera marginata) কাল-পাশ দামা বেশ বিরল এই দামাটি খুব অন্ধকার যায়গা পছন্দ করে। পার্বত্য চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি বনগুলোতে সাধারনত মাঝেমধ্যে দেখা যায়। তবে সুখের কথা হল বিগত প্রায় প্রতি মৌসুমেই এর দেখা মিলেছে একবার হলেও। দেখা পাইনি এখনো Long-billed Thrush (Zoothera monticola) লম্বা-ঠোট দামা লম্বা ঠোটবিশিষ্ঠ এই দামাটি খুবই লাজুক। সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন বনে কয়েকবার দেখা গেছে একে। এও অন্ধকার বনের ঝোপের মধ্যে মাটিতে খাবার খুজে খায়। এখনো অদেখা Scaly Thrush (Zoothera dauma) আশটে দামা সারাগায়ে মাছের আঁশের মত পালকের ডিজাইন হওয়ায় এর এমন নাম। এর আরেক নাম রঙ্গিলা দামা, দেখতে বড়ই সুন্দর। ঢাকা শহরের পার্ক মত এলাকায় সহ গাজীপুর, রাজশাহী, পিরোজপুর, শেরপুর এলাকায় একে দেখা গেছে। পত্রঝরা গাছপালাময় যায়গা এর পছন্দ। একে খুজলে সারাদেশের অনেক স্থানেই খুজে পাওয়া যাবে আশা করি। সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলে তো রয়েছেই। এই অনিন্দ্য সুন্দর পরিযায়ী পাখিটির প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার সাভারে, এরপরে মিরপুরে। আঁশটে দামা, ঢাকা Purple Cochoa (Cochoa purpurea) বেগুুনী কোচোয়া  এই পাখিটি বাংলাদেশে মাত্র কয়েকবার দেখা গেছে। প্রথমবার ঢাকা শহরের কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের মধ্যে এক গাছে দুদিন দেখা পাওয়া গেছিলো, সে কয়েক দশক আগের কথা। পরবর্তীতে বান্দরবনে দেখা পাবার দাবী রয়েছে, সেও এক দশক হতে চললো। অতি বিরল Orange-headed Thrush (Geokichla citrina) কমলা দামা আমাদের দেশের বেশ সুলভ আবাসিক এই দামাটিকে সারাদেশেই পাওয়া যায়। একটু গাছপালা বিশিষ্ট যায়গায় বসবাস করে। গানের গলা বেশ সুন্দর। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতক্ষীরা থেকে।  দেশে এখনো দেখা পাইনি। Grey-winged Blackbird (Turdus boulboul) ধুসর-ডানা কালোপাখি বাংলাদেশে কালোপাখি নামের তিনটি প্রজাতি রয়েছে তবে এরা আদতে দামা। এই দামাটিকে বাংলাদেশে বেশ কয়েকবারই দেখা গেছে, মাঝে প্রায় একদশক কেউ পায়নি, সম্প্রতি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে, ঠাকুরগাঁও এ এবং রাজশাহীতে দেখা গেছে বেশ কয়েকদিন। Tickell’s Thrush (Turdus unicolor) টিকেলের দামা সুলভ এই পরিযায়ী দামাটিকে শীতে দেশের অনেক যায়গাতেই দেখা যায়। তার মধ্যে সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন বনে, সুন্দরবনে, ঢাকার কয়েকটি পার্কে এবং পত্রঝরা বনে উল্লেখযোগ্য। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার রমনা পার্কে। Black-breasted Thrush (Turdus dissimilis) কালো-বুুক দামা  এই দামাটিও পরিযায়ী, দেশের সিলেট ও চট্বগ্রামের বন ছাড়াও একে রাজশাহী, শেরপুর, ঢাকা সহ দেশী পত্রঝরা গাছপালা আছে এমন বুন পরিবেশে দেখতে পাওয়া যায় বা গিয়েছে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে আলাদা। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম হবিগঞ্জের সাতছড়ি বন থেকে। Eyebrowed Thrush (Turdus obscurus) ভ্রুলেখা দামা বেশ দুর্লভ এই দামাটি আমাদের দেশে পান্থ পরিযায়ি বলে ধারনা করা হয়। কারন একে একটানা কয়েকদিন এক যায়গায় কখনোই পাওয়া যায়নি। ঢাকার ও আশেপাশের বিভিন্ন গাছপালাবিশিষ্ঠ যায়গায় একে কয়েকবার দেখা গেছে। এছাড়া সাতছড়ি বনে একে মাঝেমধ্যে দেখা যায়। অল্পের জন্য বেশ কয়েকবার একে দেখার সুযোগ মিস করেছি। Tibetan Blackbird (Turdus maximus) তিব্বতের কালো-পাখি এই কালোপাখিটিকে বাংলাদেশের পাখির তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে, দেখা পাওয়া গেছিলো সে অনেকদিন আগের কথা। White-collared Blackbird (Turdus albocinctus) সাদা-কন্ঠী কালো-পাখি এই কালো পাখিটিও এদেশের অতি বিরল পরিযায়ী দামা। সাতছড়ি বনে পাওয়া গেছিলো প্রায় এক দশক আগে, এরপরে গত মৌসুমে রংপুর সদরের এক কলেজ প্রাঙ্গনে শিমুল গাছে দেখা গেছিলো একে দুইদিন। এছাড়া এর পুরাতন সাইটিং আছে বেশ কিছু। Black-throated Thrush (Turdus atrogularis) কালো-গলা দামা Rufous-throated Thrush দুইভাগ হয়ে হওয়া দুটি প্রজাতির প্রথমটি এটি। দেশে বিভিন্ন এলাকায় একে দেখা গেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঠাকুরগাঁও এ কয়েকবার, কুষ্টিয়াইয় একবার, ঢাকার কয়েকবার ইত্যাদি। এর ছবি তুলেছিলাম ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর ধারে এক জংলামত যায়গায়। বেশ কয়েকদিন ধরে সে এখানে ছিলো। Red-throated Thrush (Turdus ruficollis) লালচে-গলা দামা দ্বিতীয় আলাদা হওয়া প্রজাতিটি হল এটি। এর বিচরণক্ষেত্র সাধারনত একটু খোলা প্রান্তরে, ক্ষেতখামারের ধার ঘেষে। পঞ্চগড়ে এরকম পরিবেশে কয়েকবার একে দেখা গেছে আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার খোলা চরে সর্বশেষ আমরা কয়েকজন একে দেখেছিলাম। এছাড়া বান্দরবন থেকে একটি সাইটিং রয়েছে। Dusky Thrush (Turdus eunomus) কালচে দামা এই দামাটিও বেশ বিরল আমাদের দেশে। কয়েক দশক আগে কক্সবাজারের এক দ্বীপ এলাকায় ঝাউবনের মধ্যে একটিকে দেখা গেছিলো। তার আশেপাশেই সম্প্রতি আরেকবার দেখা গেছে। এই দামাটি সম্ভবত উপকূলীয় বন পছন্দ করে, হয়তো নিয়মিত আসে কিন্তু সেদিকে বার্ডাররা কম যায় বলে চোখে পড়েনা।

বাংলাদেশের দামা ও কালোপাখি Read More »

বাংলাদেশের শালিক ও ময়না

Asian Glossy Starling (Aplonis panayensis) এশীয় তেলশালিকঃ কালো কুচকুচে ও লাল চোখ বিশিষ্ঠ এই শালিকটিকে চট্বগ্রাম বিভাগের পার্বত্য জেলাগুলোতে পাওয়া যায়। সাধারনত ফলের মৌসুমে বিভিন্ন বুনো ফলগাছে একে দেখা যায়। এখনো এই পাখিটির দেখা পাইনি। এখনো দেখা পাইনি। Golden-crested Myna (Ampeliceps coronatus) সোনালী-ঝুটি ময়নাঃ সম্প্রতি দেশের তালিকায় যুক্ত হওয়া এই প্রজাতির ময়না পাখিটিকে রাঙামাটির এক সংরক্ষিত বনে প্রথমবার এবং পরে মৌলভিবাজারের লাউয়াছড়া বনে পাওয়া গেছে। ধারনা করা হয় এটি আমাদের দেশের অতিবিরল আবাসিক বা ভেগরেন্ট পাখি। এখনো দেখা পাইনি। Common Hill Myna (Gracula religiosa) পাহাড়ি ময়নাঃ বন্যপ্রাণী অপরাধের অন্যতম বড় শিকার এই পাহাড়ি ময়না। আমরা সকলেই কমবেশি ছোট বেলায় খাঁচাবন্দী অবস্থায় এদের দেখেছি, অস্বীকার করার উপায় নেই। এদের উচু আওয়াজের শীস ও শব্দ নকল করার প্রতিভার কারনে এদের এই পরিনতি। তবে ইদানিং বন্যপ্রাণী আইন কিছুটা হলেও কার্যকর হওয়ায় ও সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এদের খাঁচায় পোষার প্রবণতা কিছুটা কমেছে। এদেরকে বাংলাদেশের সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি বনে এবং অল্প পরিমানে ময়মনসিংহ বিভাগের বনে পাওয়া যায়। এর প্রথম ছবি তুলি রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি থেকে। পাহাড়ি ময়না, হবিগঞ্জ European Starling/Common Starling (Sturnus vulgaris) ইউরোপিয় শালিকঃ বাংলাদেশের এই বিরল পরিযায়ী শালিকটিকে দেশের এখানে ওখানে একটি বা কয়েকটি করে দেখা যায় শীতকালে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে, ঢাকা জেলায় একে বেশ কয়েকবার পাওয়া গেছে। তবে সম্প্রতি নারায়নগঞ্জের অদূরে মেঘনা নদীর এক চরে প্রতিবছর একে দেখা যাচ্ছে, এছাড়া বগুড়ায় ও রাজশাহীতেও দেখা মিলেছে। এর প্রথম ছবি তুলি মেঘনা নদীর সেই চরে, পরে রাজশাহীতেও দেখা পেয়েছি। ইউরেশীয় শালিক, নারায়নগঞ্জ Rosy Starling (Pastor roseus) গোলাপী শালিকঃ এই প্রজাতির শালিকটি বাংলাদেশের আরেক পরিযায়ী অনিয়মিত পাখি, পান্থ পরিযায়ীও হতে পারে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বিশেষ করে সুন্দরবনের উপকূলে, ভোলার উপকূলে, সেইন্ট মার্টিন দ্বীপে একে প্রায় শীতেই পাওয়া যায়। এছাড়া সম্প্রতি ঢাকায় ও বান্দরবনেও দেখা মিলেছে। এখনো এর দেখা পাইনি। Daurian Starling (Agropsar sturninus) বেগুনী-পিঠ শালিকঃ এই পাখিটিকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে পরিযায়ন করার সময় মাঝেমধ্যে হুটহাট দেখা যায়। শীতের শেষে গরমের শুরুতে এদের দেখা মেলে। কক্সবাজার, ঢাকা ও হবিগঞ্জে এদের দেখা মিলেছে। এখনো এটি চোখে পড়েনি। এখনো দেখা পাইনি। Chestnut-cheeked Starling (Agropsar philippensis) খয়েরী-গাল শালিকঃ ২০১৯ সালের বসন্তে হবিগঞ্জের সাতছড়ি বনের মান্দার গাছে এই বিরল শালিকটির দেখা পাওয়া গেছিলো। সেইবারই প্রথম ও শেষ, এরপরে আর পাখিটিকে দেখা যায়নি এদেশে। সেবার সাতছড়ি যেতে পারিনি। এখনো দেখা পাইনি। Indian Pied Starling (Gracupica contra) গো শালিকঃ খুব পরিচিত এবং সুলভ এই শালিকটি আমাদের আবাসিক পাখি। সারাদেশেই প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়, গবাদীপশুর আশেপাশে থাকতে পছন্দ করে তাই এর এমন নাম। এর গান অদ্ভুত সুন্দর। গো শালিক, ঢাকা Brahminy Starling (Sturnia pagodarum) বামুনি কাঠশালিকঃ বাংলাদেশের এই বিরল শালিকটিকে শুধুমাত্র রাজশাহী জেলাতেই নিয়মিত পাওয়া যায়। এছাড়া আশেপাশের কিছু জেলায় ও ঢাকায় কয়েকবার একে দেখা গেছে। রাজশাহীতেই প্রথম এর ছবি তুলি। বামুনি কাঠশালিক, রাজশাহী Chestnut-tailed Starling (Sturnia malabarica) খয়েরীলেজ কাঠশালিকঃ আকারে কিছুটা ছোট এই প্রজাতির শালিকও বাংলাদেশে বেশ সুলভ। গাছের গুড়িতে বাসা করে তাই গাছপালা আছে এমন যায়গাতেই বেশি দেখা যায়। বনাঞ্চলের আশেপাশে ঝাঁকে ঝাঁকে দেখা মেলে। কাঠশালিক, ঢাকা Common Myna (Acridotheres tristis) ভাত শালিকঃ বাংলাদেশের অত্যন্ত এই সুলভ আবাসিক শালিক পাখিটিকে আমরা সবাই দেখেছি। বাসাবাড়ির আশেপাশে ভাত ছড়ালেই একে দেখা যায়, এজন্যই হয়তো এর এমন নাম। ভাত শালিক, ঢাকা Bank Myna (Acridotheres ginginianus) গাং শালিকঃ নদীর খাড়া পাড়ে গর্ত করে বাসা করে বলে এর এমন নাম। সাধারনত নদীর আশেপাশে পাওয়া যায় বলে এটিকে প্রতিদিন দেখা যায় না। তবে বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলে এর ভালো পপুলেশান রয়েছে, সেখানে হরহামেশা এর দেখা পাওয়া যায়। প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে। গাং শালিক, ঢাকা Jungle Myna (Acridotheres fuscus) ঝুটি শালিকঃ ঠোটের গোড়ায় সামান্য কিছু খাড়া পালক থাকায় এর এমন নাম হয়েছে। আকারে ভাত শালিকের চেয়ে সামান্য ছোট। চোখ হলুদ আর ঠোটের গড়ায় নীলচে ছোপ রয়েছে। ভাত শালিক ও গো শালিকের তুলনায় একে একটু কমই পাওয়া যায়। ঝুটি শালিক, ঢাকা Great Myna (Acridotheres grandis) ধলা-তলা শালিকঃ ভাত শালিকের চেয়ে সামান্য আকারে বড় এই শালিকটির ঠোট সম্পুর্ন হলুদ, ঠোটের গোড়ায় বেশ উচু ঝুটি রয়েছে, আর চোখ কালো। বাংলাদেশে বেশ বিরল একটি পাখি। ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় প্রথম এর দেখা পাওয়া গেছিলো, এরপরে কক্সবাজার ও লালমনিরহাটে। করোনাকালীন সময়ে সিলেটের একটি অঞ্চলে প্রায় ছয়মাস ধরে একটানা এদের দেখা যায়, তখন ধারনা করা হয় যে এরা সম্ভবত আমাদের দেশের অতিবিরল আবাসিক পাখি। পরে সম্প্রতি শেরপুরের কিছু বিল এলাকায় এদেরকে বেশ ভালো সংখ্যায় দেখা গেছে ঝুটি শালিক, ভাত শালিকের ঝাঁকে মিশে গরুর পালের সাথে সাথে চলতে। সেখানেই এর প্রথম ছবি তুলি। সেখানে অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখিও দেখা গেছে সুতরাং প্রায় নিঃসন্দেহেই বলা যায় যে এরা আমাদের দেশে অল্প সংখ্যায় হলেও প্রজনন করে। বড় শালিক, শেরপুর Spot-winged Starling (Saroglossa spilopterus) চিতিপাখ শালিকঃ এটি বাংলাদেশের আরেক বিরল পরিযায়ী শালিক। শীতকালে বিশেষ করে শীতের শেষে ফুল ফুটা শুরু হলে একে সিলেট বিভাগের বেশ কিছু বনে এবং চট্বগ্রাম বিভাগে অনিয়মিতভাবে পাওয়া যায়। শালিকদের মধ্যে এই শালিকটির পুরুষ পাখিগুলো অন্যতম সুন্দর। স্ত্রী পাখি দেখতে আলাদা হয়। এখন পর্যন্ত কয়েকবার চেষ্টা করেও এর দেখা পাইনি। এখনো দেখা পাইনি।

বাংলাদেশের শালিক ও ময়না Read More »

বাংলাদেশের বনমালী

Indian Nuthatch (Sitta castanea) দেশী বনমালিঃ বাংলাদেশের পাখির তালিকায় এই পাখিটির উল্লেখ করেছেন লেখকগন। সম্প্রতি কয়েক দশকে এর দেখা দেশে পাওয়া যায়নি। এখনো দেখা পাইনি। Chestnut-bellied Nuthatch (Sitta cinnamoventris) খয়েরী-পেট বনমালিঃ গাড় খয়েরী রঙের পেটবিশিষ্ঠ পাখিটিকে চট্বগ্রামের উচু পাহাড়ি বনেই মাঝেমধ্যে দেখা মেলে। আমি এখনো দেখা পাইনি। এখনো দেখা পাইনি। Velvet-fronted Nuthatch (Sitta frontalis) কালো-কপাল বনমালিঃ এই পরিবারের সবচেয়ে সুলভ এই পাখিটি। নীলচে রঙ এর দেহ ও কপালের কাছটা মখমল কালো। গাছের কান্ডের চারদিকে খুব দ্রুত সকল ডিরেকশানে চলাচল করতে পারে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে সবচেয়ে সুলভ, সিলেটের বনগুলোতে মাঝেমধ্যে এবং চট্বগ্রামের বনগুলোতে এর দেখা পাওয়া যায়। গারো পাহাড়ে দেখা গিয়েছিলো বলে শুনেছি। এর প্রথম ছবি তুলি সুন্দরবনের করমজল থেকে। কালো-কপাল বনমালী, সুন্দরবন

বাংলাদেশের বনমালী Read More »

বাংলাদেশের গাছচারি

Bar-tailed Treecreeper (Certhia himalayana) ডোরালেজ গাছচারী বাংলাদেশে এই পরিবারের একটি পাখিই মাত্র পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। বহুবছর এর আর দেখা পাওয়া যায়নি। এরা গাছের খাড়া গুড়ি বেয়ে খুব দ্রুত সকল দিকেই প্রায় দৌড়ে চলাচল করতে পারে, এর নামও গাছচারি হয়েছে এজন্যই। এই কাজের সুবিধার্থে এর পায়ের নখগুল বেশ লম্বা লম্বা, এর দেহের তুলনায়। এখনো দেখা পাইনি।

বাংলাদেশের গাছচারি Read More »

বাংলাদেশের পেঙ্গা ও ছাতারে

Brown-cheeked Fulvetta (Alcippe poioicephala) বাদা্মী-গাল ফালভেটাঃ ফালভেটা একধরনের ব্যাবলার জাতীয় পাখি। দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বের মিশ্র চিরসবুজ বনে পাওয়া যায়। সাধারনত কয়েকটি একসাথে থাকে, অন্য কাছাকাছি প্রজাতির পাখিদের সাথে মিশেও ঝাঁক তৈরী করে। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম কুলাউড়ার সাগরনাল চা বাগানের কোলঘেষে এক বনে। এখনো দেখা পাইনি। Nepal Fulvetta (Alcippe nipalensis) নেপালী ফালভেটাঃ নামের মধ্যে নেপাল রয়েছে এমন কয়েকটি পাখি আমাদের দেশে পাওয়া যায়, এই পাখিটি তার একটি। আকারে ছোট, এর চোখের চারপাশের রিং এবং মাথার চুড়া, সাথে মোটা ঠোট দেখে সহজেই একে চেনা যায়। এও অন্যান্য ব্যাবলার, ফালভেটাদের সাথে ঝাঁক বেঁধে চলতে পছন্দ করে। কুলাউড়ায় প্রথম এর ছবি তুলি। এখনো দেখা পাইনি। Long-tailed Sibia (Heterophasia picaoides) ল্যাঞ্জা সিবিয়াঃ দেশে পাওয়া যাওয়া একমাত্র সিবিয়া হচ্ছে এটি। কয়েক দশক আগে মৌলভিবাজারের লাউয়াছড়া বনে একটিকে দেখা গেছিলো, সম্প্রতি আর পাওয়া যায়নি। এখনো দেখা পাইনি। Jungle Babbler (Argya striata) বন ছাতারেঃ মানুষের বসতবাড়ির আশেপাশে পাওয়া যাওয়া সবচেয়ে সুলভ ছাতারে এই পাখিটি। ৭-৮ টি পাখি একসাথে থাকে আর ক্যাচক্যাচ করে ডাকে বলে এর নাম সাত ভাই ছাতারে, ক্যাচকেচিয়া ইত্যাদিও। দেশের মধ্যাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলে একে খুব সহজেই পাওয়া যায়। আশ্চর্যজনকভাবে সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগে এই পাখিটি বিরল। আপনি যদি দেখতে পান তাহলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন। এখনো দেখা পাইনি। Common Babbler (Argya caudata) পাতি ছাতারেঃ নামে সুলভ হলেও আসলে এই পাখিটি আমাদের দেশে বেশ দুর্লভ। প্রথম পাওয়া গিয়েছিল কুষ্টিয়ার পদ্মার এক চরে। এরপরে মাগুরা, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ এবং মেহেরপুরে একে পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয় এটি আমাদের দেশের বিরল আবাসিক একটি পাখি। এর দেখা এখনো পাইনি। এদের গলার কাছটা সাদা আর চোখ কালো। এখনো দেখা পাইনি। Striated Babbler (Argya earlei) ডোরা ছাতারেঃ সারাদেশে ঘাসবন প্রতিবেশে পাওয়া যাওয়া সুলভ ছাতারে হচ্ছে এই পাখিটি। এদের মাথা, ঘাড় ও পিঠ জুড়ে লম্বা লম্বা দাগ রয়েছে বলে এদের এমন নাম। অন্য ছাতারেদের মত এরাও সাধারনত দল বেঁধে বিচরন করে। এদের চোখের আইরিস হলুদ, তবে বাচ্চা বয়সে কালচে। ফলে কমবয়সী পাখিগুলোকে অনেকে কমন ব্যাবলার বলে ভুল করেন। এদের ডাক শুনে সহজেই ঘাসবনে এদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকা শহরের কাছেই একটি হাউজিং প্রজেক্টের কাশবনে। এখনো দেখা পাইনি। Lesser Necklaced Laughingthrush (Garrulax monileger) ছোট মালাপেঙ্গাঃ বাংলাদেশে পাওয়া যাওয়া দুরকম মালাপেঙ্গার মধ্যে এটি ছোট। সাধারনত একসাথেই ঝাঁক বেঁধে বিচরন করে। তবে একে সহজে চেনার উপায় হল এর সামান্য ছোট আকৃতি ও এর হলুদ চোখের রিং। বাংলাদেশে ময়মনসিংহ বিভাগের গারো পাহাড় এলাকায় সুলভ, এছাড়া এর মূল বিস্তৃতি সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চল সমুহে। গারো পাহাড় থেকে এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম। এখনো দেখা পাইনি। White-crested Laughingthrush (Garrulax leucolophus) সাদা-ঝুটি পেঙ্গাঃ অত্যন্ত সুন্দর দেখতে এই প্রজাতির পেঙ্গাটিকে বেশ কমই দেখতে পাওয়া যায়। চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলে মাঝেমধ্যে দেখা যায়। বান্দরবনের উচু পাহাড়ি বনে এর মূল বাসস্থান। এর ডাকও খুব সুন্দর। এখনো এর দেখা পাইনি। এখনো দেখা পাইনি। Rufous-necked Laughingthrush (Pterorhinus ruficollis) লাল-ঘাড় পেঙ্গাঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে বিস্তৃত এলাকা জূরে পাওয়া যাওয়া পেঙ্গা সম্ভবত এটি। একে বনের বাইরে বিভিন্ন এলাকাতেই দেখা যায় এমনকি ঢাকা জেলাতেও কয়েক যায়গায় একে দেখা গেছে। ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের পত্রঝরা বন ও বনের অংশে একে দেখা যায়, বেশি দেখা যায় শেরপুর জেলায়। এছাড়া উত্তরে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম থেকে শুরু করে উত্তর ও উত্তর পুর্বের জেলাগুলোতে এবং চট্বগ্রাম বিভাগের সীমান্তঘেষা জেলাগুলো এবং সকল বনে একে পাওয়া যায়। এরা সাধারনত বনের কিনারে থাকতে পছন্দ করে বলে আমার অভিজ্ঞতা। এরাও ঝাঁক বেঁধে থাকে এবং সকল পেঙ্গাদের মতই খুব ডাকাডাকি করে। এর প্রথম ছবি তুলি আমি জামালপুর জেলার গারো পাহাড় অংশে। এখনো দেখা পাইনি। Greater Necklaced Laughingthrush (Pterorhinus pectoralis) বড় মালাপেঙ্গাঃ বাংলাদেশে পাওয়া যাওয়া সবচেয়ে বড় আকৃতির পেঙ্গা এটি। ময়মনসিংহ বিভাগের গারো পাহাড় অঞ্চলে পাওয়া যায়, এছাড়া এর মূল বাসস্থান সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের মিশ্র চিরসবুজ বনাঞ্চলে। আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এটিই সবচেয়ে সুলভ পেঙ্গা বাংলাদেশের। যে বনে এর বাস সেখানে গেলেই এর সাথে দেখা হয়, ডাক শোনা যায়। গারো পাহাড় থেকেই এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম। এখনো দেখা পাইনি। Yellow‑throated Laughingthrush (Garrulax galbanus) হলদে-গলা পেঙ্গাঃ বাংলাদেশে দেখা যাওয়া এই পেঙ্গাটিকে বহুদিন আর এদেশে দেখা পাওয়া যায়নি। এখনো দেখা পাইনি। Rusty-fronted Barwing (Actinodura egertoni) মরচে-কপাল ডোরাপাখঃ ছাতারে ও পেঙ্গাদের আত্বীয় এই পাখিটিকেও বাংলাদেশে কয়েক দশকের মধ্যে দেখা যায়নি। তবে আগে পাওয়া যেত বলে অভিজ্ঞজনেরা উল্লেখ করেছেন। এখনো দেখা পাইনি।

বাংলাদেশের পেঙ্গা ও ছাতারে Read More »

বাংলাদেশের ভূচর ছাতারে ও অন্যান্য

White-hooded Babbler (Gampsorhynchus rufulus) সাদা-চুড়া ছাতারে এই ছাতারেটি বাংলাদেশের চট্বগ্রাম বিভাগের অল্প কিছু যায়গায় উচু পাহাড়ি বনে পাওয়া যায়। খুব লাজুক এবং দুর্লভ। এখনো দেখা পাইনি। Swamp Grass-babbler (Prinia) (Laticilla cinerascens) বাদা ঘাস-ছাতারে সমুদ্র=পৃষ্ঠ থেকে বেশ উচুতে হাওড় ও বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্রের উজানে একে পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। সিলেটের হাওড় এলাকায় পুরাতন কিছু সাইটিং আছে। কয়েক দশক ধরে একে দেখা যায়নি এদেশে। এখনো দেখা পাইনি। Puff-throated Babbler (Pellorneum ruficeps) ফোলা-গলা ছাতারে বাংলাদেশের উত্তর ও পুর্বাংশের গ্রামীন বন ও পাহাড়ি বনের সুলভ ছাতারে এই পাখিটি। যেখানে একে পাওয়া যায় সেখানে এর মনোমুগ্ধকর গান আপনার কানে বাজবেই বাজবে। সাধারনত কয়েকটি থাকে একসাথে। মাটি কামড়ে শুকনা পাতার নিচে খাবার খুজে বেড়ায়, গায়ের রঙ এর কারনে এদের স্পট করা কঠিনই। এর গান শুনে প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম শেরপুরের গারো পাহাড়ে। এর পরে বেশ কয়েক বনে এর দেখা পেয়ে আনন্দিত হয়েছি। এখনো দেখা পাইনি। Marsh Babbler (Pellorneum palustre) বিল ছাতারে এরা বাংলাদেশের আরেক বিরল ছাতারে। ঘন নলবনের মধ্যে বাস করে, খুবই ভীতু, বাইরে কমই আসে। এদের ডাক বা গান জানা থাকলে সেটা শুনে এর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। আর ছবি তুলতে হলে লম্বা সময় দেয়া লাগবে। বাংলাদেশের উত্তর-পুর্বের হাওড় অঞ্চলে এর পুরাতন রেকর্ড আছে, কয়েক দশকে আর পাওয়া যায়নি। এখনো দেখা পাইনি। Spot-throated Babbler (Pellorneum albiventre) ছিটে-গলা ছাতারে ছোট আকৃতির খুব লাজুক এই ছাতারেকে কয়েক দশক আগে একবারই দেখা গিয়েছিলো। এখনো দেখা পাইনি। Buff-breasted Babbler (Pellorneum tickelli) মেটে-বুক ছাতারে খুব লাজুক আর অন্ধকার বনের ঝোপঝাড় এ বাস করা এই বিরল ছাতারেটিকে দেশের সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বনগুলোতে অনিয়মিতভাবে পাওয়া যায়। এর ডাক শোনা সহজতর এর দেখা পাওয়ার চেয়ে। চট্বগ্রামের হাজারিখিল বনে এর দেখা পেয়েছি। এখনো দেখা পাইনি। Abbott’s Babbler (Malacocincla abbotti) এবটের ছাতারে এই ছাতারেটিও গান গাওয়ায় বেশ পটু। একে সারাদেশের বনগুলোতে সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়া খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের গ্রামীন বনেও এর দেখা মেলে। এদের গানের গলাও বেশ, সকালে ও সন্ধ্যায় খুব সুন্দর করে গান গায়। সাধারনত কয়েকটি একসাথে থাকে। এখনো দেখা পাইনি। Streaked Wren-Babbler (Gypsophila brevicaudata) ডোরা রেন-ছাতারে খুব ছোট এবং খাটো লেজবিশিষ্ঠ এই ছাতারেটিকে প্রথম কাপ্তাই এর বনে এবং পরে বান্দরবনের উচু পাহাড়ি বনে পাওয়া গেছিলো। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এই দুবারই একে এদেশে দেখা গেছে। এখনো দেখা পাইনি। Indian Grass-babbler/Rufous‑rumped Grassbird (Graminicola bengalensis) দেশী ঘাস-ছাতারে/ লাল-কোমর ঘাসপাখি একে ঘাসপাখি ডাকা হলেও এ আসলে একধরনের ছাতারে। বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের হাওড় অঞ্চলে ঘন নলবনে একে দেখা যেত নিয়মিত কয়েক দশক আগেও। অথচ এখন এরা সেখান থেকে হারিয়ে গেছে, কয়েক দশক আর এদের দেখা পাওয়া যায়নি। তবে ধারনা করা হয় এখনো পাওয়া যায়, এছাড়া উত্তরবঙ্গের তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় এদের উপস্থিতি থাকতে পারে। এখনো দেখা পাইনি।

বাংলাদেশের ভূচর ছাতারে ও অন্যান্য Read More »

বাংলাদেশের গেছো ছাতারে, কাস্তে ছাতারে ও অন্যান্য

Chestnut-capped Babbler (Timalia pileata) লা্ল-টুপি ছাতারে বেশ লাজুক এই ছাতারেটি দেশের খুব বেশি যায়গায় পাওয়া যায়না তবে ফীল্ডগাইডে এর বিস্তৃতি সারাদেশেই উল্লেখ করা আছে। তার প্রমানও পাওয়া যায় কারন চাপাইনবাগঞ্জ এলাকার চরাঞ্চলে, কুষ্টিয়ার চরাঞ্চলে, সুন্দরবনে একে পাওয়া গেছে। এছাড়া সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের অনেক বনাঞ্চল সংলগ্ন যায়গায় ঝোপমত যায়গায় একে দেখা যায়। সাজেক ভ্যালি থেকে এর ডাক রেকর্ড করেছিলাম কিন্তু দেখা পাইনি। এখনো দেখা পাইনি। Pin-striped Tit-Babbler (Mixornis gularis) ডো্রা তিত-ছাতারে খুব ছোট আকারের এই ছাতারেটি সারাদেশের অনেক স্থানেই পাওয়া যায়। রাজশাহী বিভাগে ছাড়া দেশের প্রায় সকল বিভাগেই গ্রামীন বন সহ দেশের সকল বনে এর দেখা পাওয়া যায়। যেই বনে এ আছে সেখানে গেলেই এর একঘেয়ে একটানা টিন টিন টিন ডাক শুনতে পাওয়া যায়। প্রথম ছবি তুলেছিলাম শেরপুরের গারো পাহাড় থেকে। এখনো দেখা পাইনি। Buff-chested Babbler (Rufous-fronted Babbler) Cyanoderma ambiguum লালচে-কপাল ছাতারে এই ছাতারেটির আগের নাম ছিলো rufous-fronted babbler, খুবই ছোট আকারের এই ছাতারেকে সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের প্রায় সকল বনেই পাওয়া যায়। তবে এর দেখা পাওয়া বেশ কঠিন, ছবি তোলা আরও। খুব অন্ধকার যায়গায় পাতার নিচে বিচরন করতে পছন্দ করে। এর ডাক চেনা থাকলে সহজেই এর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এর ছবি পেয়েছিলাম কুলাউড়ার এক বন থেকে। ভালো ছবি হয়নি। এখনো দেখা পাইনি। Red-billed Scimitar babbler বাংলাদেশে এই প্রজাতির কাস্তে ছাতারে দেখা গেছে বলে পুরাতন পাখির তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। এখনো দেখা পাইনি। White-browed Scimitar-Babbler (Pomatorhinus schisticeps) সাদা-ভ্রু কাস্তে ছাতারে এই প্রজাতির কাস্তে-ছাতারেটি দেশের সিলেট-চট্বগ্রাম বিভাগের বনগুলোতে ছাড়াও শেরপুর অঞ্চলের গারো পাহাড়ের বেশ কিছু যায়গায় দেখা গেছে। এর ডাক খুব সুন্দর, ডাক শুনে সহজেই এর উপস্থিতি টের পাওয়া যায় তবে সকভাবে বেশ লাজুক। এর প্রথম ছবি পাই মৌলভিবাজারের কুলাউড়ায়। এখনো দেখা পাইনি। Large Scimitar-Babbler (Erythrogenys hypoleucos) বড় কাস্তে ছাতারে সাদা-ভ্রু এর চেয়ে আকারে বড়, কম পাওয়া যায় এই কাস্তে-ছাতারেটিকে। তবে সিলেট ও চট্বগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ বনেই রয়েছে। এখনো দেখা পাইনি। Spot‑breasted Scimitar-babbler (Erythrogenys mcclellandi) ছিটে-বুক কাস্তে ছাতারে বাংলাদেশে এই প্রজাতির কাস্তে-ছাতারেটিকে পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এখনো দেখা পাইনি। Grey-throated Babbler (Stachyris nigriceps) মেটে-গলা ছাতারে ছোট আকারের এই ছাতারেটিকে সাধারনত কয়েকটি একত্রে দেখা যায়। দেশের পূর্বাঞ্চলীয় বনগুলতে সহজেই একে দেখা যায়। দেখতে বেশ সুন্দর। এরা ফালভেটাদের সাথে ঝাঁক বেঁধে থাকে প্রায়ই। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম কুলাউড়া থেকে। এখনো দেখা পাইনি।

বাংলাদেশের গেছো ছাতারে, কাস্তে ছাতারে ও অন্যান্য Read More »

বাংলাদেশের শেতাক্ষী ও উহিনা

Striated Yuhina (Staphida castaniceps) ডোরা উহিনাঃ ছোট্ব এই পাখিটিকে বাংলাদেশের একমাত্র বান্দরবন জেলায় উচু পাহাড়ি বনাঞ্চলেই দেখা মেলে। এর সাধারনত ঝাঁক বেঁধে চলাচল করে। এখনো দেখা পাইনি। Indian White-eye (Zosterops palpebrosus) দেশী শেতাক্ষীঃ হলুদ রঙ এর ছোট্ট এই পাখিটিকে সারাদেশেই দেখা যায়, এর চোখের চারপাশে সাদা রিং রয়েছে এজন্য এর এমন নাম। এর অন্যান্য নামের মধ্যে আছে চশমা-টুনি, বাবুনাই ইত্যাদি। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম সাতক্ষীরায় নিজের গ্রামের বাড়িতে। পরে দেশের বেশ কিছু বনে এর দেখা পেয়েছি। শেতাক্ষী, হবিগঞ্জ

বাংলাদেশের শেতাক্ষী ও উহিনা Read More »

বাংলাদেশের টিয়েঠুটি

Yellow-eyed Babbler (Chrysomma sinense) হলদে-চোখ ছাতারেঃ এরা এদেশের বিরল আবাসিক ছাতারে। তবে টিয়েঠুটিদের আত্বীয়। চোখের চারপাশে কমলাটে হলুদ রিং রয়েছে তাই এদের এমন নাম। সাধারনত লম্বা ঘাস ও ঝোপ মিশ্রিত পাহাড়ি অঞ্চলে এদের পাওয়া যায়। বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এ নিয়মিত এবং বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গায় অনিয়মিতভাবে দেখা যায়। এছাড়া পূর্বাঞ্চলের মৌলভিবাজার, রাঙামাটি ইত্যাদি জেলায় অল্প পরিমানে এদের দেখা যায়। এদের প্রথম ছবি তুলেছিলাম মৌলভিবাজার থেকে। মৌলভিবাজারে হলদে-চোখ ছাতারে Black‑breasted Parrotbill (Paradoxornis flavirostris) কালো-বুক টিয়েঠুটিঃ বাংলাদেশের তিন প্রজাতির টিয়েঠুটিই অতিবিরল আর সম্ভবত বাংলাদেশে এখন আর পাওয়া যায়না। বাংলাদেশে পাওয়া যাওয়া পাখির তালিকায় এই কালো-বুক টিয়েঠুটির উল্লেখ আছে। উচু পাহাড়ি অঞ্চলের বাশবাগান-লম্বা ঘাস ও ঝোপ এর মধ্যে এদের বসবাস। এখনো দেখা পাইনি। Spot‑breasted Parrotbill Paradoxornis guttaticollis তিলা-বুক টিয়েঠুটি এই প্রজাতির টিয়েঠুটিও বাংলাদেশে অনেক বছর আগে পাওয়া গেছিলো বলে উল্লেখ রয়েছে। এখনো দেখা পাইনি। Rufous-headed /Greater Rufous‑headed Parrotbill (Psittiparus bakeri) বড় লাল-মাথা টিয়েঠুটিঃ বাংলাদেশের টিয়েঠুটির এই প্রজাতিটিকে নব্বই এর দশকে মৌলভিবাজারের এক চাবাগানের ধারের জংলামত যায়গায় পাওয়া গেছিলো। ধারনা করা হয় পার্বত্য চট্বগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলে উচু পাহাড়ের বাঁশ ও লম্বা ঘাসবন প্রতিবেশে এদের আজও পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো দেখা পাইনি।

বাংলাদেশের টিয়েঠুটি Read More »

Scroll to Top