বাংলাদেশের সুন্দরবন এক অসাধারন সুন্দর এলাকা, প্রতিবছর লাখ লাখ দেশী-বিদেশী ট্যুরিস্ট সুন্দরবনে বেড়াতে আসেন। জাহাজ বা ট্রলার ভাড়া করে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে হয়, সাধারনত দলবেঁধে ৪০-৭৫ জনের দল বেঁধে টুরিস্টগণ সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। যা খুব সুবিধাজনক নয় এবং নিরবে এবং নিভৃতে বনের সৌন্দর্যকে উপভোগ করা যায় না। তাই আমরা বার্ডিংবিডি থেকে ব্যবস্থা করছি ছোট জাহাজে করে ০২ জন থেকে ১২ জনের দল নিয়ে সুন্দরবনে বেড়ানোর ব্যবস্থা। আর এই ট্রিপগুলো ভীড়ভাট্টা এড়িয়ে আলাদা র্যুটে আয়োজন করা হয়ে থাকে যাতে আপনি একেবারে নিজের মত করে সুন্দরবনের সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারেন। কাছ থেকে দেখতে পারেন সুন্দরবনের নানা রকম বন্যপ্রাণী ও পাখি বৈচিত্র। থাকা -খাওয়া প্রাইভেট ছোট জাহাজে এবং সরু খালের ভেতর ছোট ইঞ্জিন বোটে করে ঘুরে বেড়াবেন। প্রতিদিন তিনবেলা ডাবল মেনু খাবার এর সাথে দুইবেলা নাস্তা এবং সর্বক্ষণ চা-কফির ব্যবস্থা থাকবে। নিজস্ব পাকা রাঁধুনির হাতে রান্না করা নানা রকম সুন্দরবনের সুস্বাদু মাছ, বার্বিকিউ, পোলাও-কোরমা সহকারে বাদশাহী খানা-দানার ব্যাবস্থা থাকবে। সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার জন্য থাকবে সশস্ত্র ফরেস্ট গার্ড। সুন্দরবনের অসাধারন সুর্যোদয় ও সুর্যাস্ত উপভোগ করুন, দেখুন শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষার সুন্দরবনের ভিন্ন ভিন্ন রূপ। বিস্তারিত এবং বুকিং পদ্ধতি নিচে দেয়া হলো।
সুন্দরবন প্রতিবছর জুন-জুলাই ও আগস্ট এই তিনমাস বন্ধ থাকে। এর বাইরে মোট নয়মাস সুন্দরবনে প্রবেশ করা যায়, শীতে সবচেয়ে বেশী ট্যুরিস্ট বেড়াতে গেলেও এপ্রিল-মে এর গরমে এবং সেপ্টেম্বর এর বর্ষায় সুন্দরবনের আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। জাহাজের শিডিউল ফাঁকা পাবার জন্য কমপক্ষে ০৩ মাস আগেই বুকিং দেয়া উচিত। বেড়াতে, ফটোগ্রাফি করতে, গবেষনা কিংবা ওয়াইল্ডলাইফ সাফারী করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা ঢাকা টু ঢাকা বা খুলনা টু খুলনা সুন্দরবন ট্রিপ আয়োজন করে থাকি।
নন এসি জাহাজে জনপ্রতি খরচ পড়বে দুরাত তিনদিনের ট্রিপ ১২,০০০ টাকা এবং এসি জাহাজে জনপ্রতি ১৮০০০ টাকা করে। চাইলে একদুইজন মিলে পুরো জাহাজও বুকিং করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আগে থেকে যোগাযোগ করে নিন। ঢাকা থেকে যাতায়াতের বাস টিকিটও আমরা ব্যাবস্থা করে দিতে পারি।
সুন্দরবনের রাতগুলো হয়ে থাকে তারা ভরা আকাশ বিশিষ্ট, নিকষ কালো এবং রহস্যময়। রাতের বেলা সাধারনত আমরা কোন একটি বড় খালের মোহনায় নোঙ্গড় করে অবস্থান করি। আকাশ পরিস্কার থাকলে আকাশে এত বেশী সংখ্যক তারা দেখা যায় যে তার দিকে তাকিয়েই কাটিয়ে দেয়া যায় ঘন্টার পরে ঘন্টা। সুন্দরবনের সুর্যাস্ত আর সুর্যোদয়ের সময় যে রঙ দেখা যায় তা আর কোথাও পাবেন না। বনের ভেতর দেখা মিলবে বনজীবি লোকদের কষ্টকর ও ঝুকিপুর্ণ কর্মযজ্ঞ। তাদের পাশে নৌকা ভিড়িয়ে তাদের জীবনের গল্প শোনা যাবে, তাদের কাছ থেকে খাঁটি মধু, সদ্য ধরা মাছ কেনার সুযোগ থাকবে। তবে আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে সুন্দরবনের প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীদের দেখার চেষ্টা করা। তাই আমরা আমাদের ট্রিপগুলো এমনভাবে সাজিয়েছি যাতে কোলাহল ও ভীড়ভাট্টা এড়িয়ে প্রাইভেট ভাবে সুন্দরবনকে উপভোগ করা যায়।
ভ্রমনের তারিখ ঠিক হয়ে গেলে উপরে দেয়া ফর্ম বা ফোন নাম্বারে কল দিয়ে বা হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ট্রিপ ফাইনাল করুন, নিশ্চিত করতে মোট খরচের ৩০% টাকা আমাদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠাতে হবে। বাকি টাকা ট্রিপের তারিখের দশ দিন আগে পাঠাতে হবে,