বাংলাদেশের ভরত
1. Ashy-crowned Sparrow-Lark (Eremopterix griseus) মেটে-চাঁদি চড়ুইভরতঃ বেশ বিরল এই পরিযায়ী ভরতটি বাংলাদেশে বেশ বিরল। একে প্রধানত পঞ্চগড় এর তরাই অঞ্চলে পাওয়া যায়। এছাড়া পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় মাঝেমধ্যে দেখা মেলে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে আলাদা। পুরুষ পাখিগুলকে প্রজনন ঋতুতে খুব সুন্দর লাগে। এর দেখা এখনো পাইনি। 2. Horsefield’s (Singing) Bushlark (Mirafra javanica) গায়ক ঝাড়ভরতঃ এই প্রজাতির ঝাড়ভরত বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বলে পুরাতন নথিপত্রে উল্লেখ রয়েছে। 3. Bengal Bushlark (Mirafra assamica) বাংলা ঝাড়ভরতঃ এই প্রজাতির অভ্রভরত সারাদেশে বেশ সহজেই দেখা যায়। এদের সাধারনত বালু ও কাটাগাছবিশিষ্ট চরাঞ্চল এবং ঘাসবনের মধ্যে দেখা যায়। আমাদের দেশের আবাসিক পাখি, পুরুষ ও স্ত্রী দেখতে একই রকম। আকাশে উড়ে উড়ে গান গাইতে দেখা যায় এদের। ডানার উপরে লাল ছোপ থাকায় এদের আরেক নাম Rufous-winged Lark। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম ঢাকার উত্তরা থেকে। 4. Eastern Short-toed Lark/Sykes’s Short-toed Lark (Calandrella dukhunensis) সাইক্সের ভোঁতাভরতঃ বিরল এই পরিযায়ী ভরত পাখিটিকে বাংলাদেশে খুব কম পাওয়া যায়। একে আলাদা করা বেশ কঠিন তবে এর চোখ ও ঠোটের মাঝের যায়গায় রঙহীন থাকে আর মাথার উপরে ছিটেদাগ নেই। এর দেখা এখনো পাইনি। 5. Greater/Eastern Short-toed Lark (Calandrella brachydactyla/dukhunensis) বড় ভোঁতাভরতঃ বাংলাদেশে ধারনা করা হয় বড় অভ্রভরতও রয়েছে তবে ঝাঁক এর মধ্য থেকে আলাদা করা যায়নি। তবে রয়েছে নিশ্চই। ডাক রেকর্ড করে এনালাইজ করলে এর উপস্থিতি টের পাওয়া যাবে। 6. Hume’s Lark/Hume’s Short-toed Lark (Calandrella acutirostris) হিউমের ভোঁতাভরতঃ এই প্রজাতির পরিযায়ী ভরতকে একসাথে শত শত পাখি মিলে ঝাঁক বেঁধে পদ্মা নদীর অববাহিকায় বিভিন্ন চরে দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার চরাঞ্চলে। এছাড়া বড় নদী ধরে অন্যান্য এলাকায়ু কমবেশি দেখা যায়। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম রাজশাহীর পদ্মার চর থেকে। 7. Sand Lark (Alaudala raytal) বালু ভরতঃ এই প্রজাতির আবাসিক ভরত পাখিটি সারাদেশেই ছোট ও বড় নদীর চরে বালুময় এলাকায় দেখা যায়।ইয়দেখতে খুব সুন্দর, উত্তেজিত হলে মাথার পালক উচু করে ঝুটির মত তৈরী করে যা দেখতে অপুর্ব। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম রাজশাহীর পদ্মার চর থেকে। 8. Oriental Skylark (Alauda gulgula) উদয়ী অভ্রভরতঃ একে প্রায়ই আকাশে উড়ন্ত ও গান গাওয়া অবস্থায় দেখা যায় বলে এর এমন নাম। সারাগায়ের উপরিভাগে ঘন দাগ দাগ রয়েছে, এছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক পাখির মাথায় ঝুঁটি দেখা যায়। এরাও আমাদের দেশের আবাসিক পাখি, প্রজনন ঋতুতে সুন্দর গান গায়। এর প্রথম ছবি তুলেছিলাম মানিকগঞ্জের পদ্মার চর থেকে।